Wednesday, September 10, 2025

আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ, জিএইচএমসির শোকজ নোটিশ

দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেতা আল্লু অর্জুন আবারও আইনি জটিলতায় জড়িয়েছেন। হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসে অবস্থিত তার ‘আল্লু বিজনেস পার্ক’ নামে একটি বহুতল ভবন নির্মাণে বেআইনি কাজের অভিযোগ উঠেছে। গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন (জিএইচএমসি) এই অভিযোগে অভিনেতা ও তার পরিবারের কাছে একটি শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, জুবিলি হিলসের রোড নং ৪৫-এ অবস্থিত এই ভবনটি প্রায় দুই বছর আগে নির্মিত হয়। এটি আল্লু পরিবারের মালিকানাধীন এবং এখানে গীতা আর্টস, আল্লু আর্টস-সংশ্লিষ্ট ব্যবসা এবং অন্যান্য কোম্পানির অফিস রয়েছে। জিএইচএমসির মতে, ১,২২৬ বর্গগজের জমিতে দুটি সেলার এবং গ্রাউন্ডসহ চারতলা (জি+৪) ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি পরিদর্শনে দেখা গেছে, চতুর্থ তলায় একটি অতিরিক্ত কাঠামো বা পেন্টহাউস নির্মাণ করা হয়েছে, যা অনুমোদিত পরিকল্পনার বাইরে এবং বেআইনি।

জিএইচএমসির সার্কল-১৮-এর ডেপুটি কমিশনার সাম্মাইয়া এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং অভিনেতার কাছে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে বলা হয়েছে, কেন এই বেআইনি কাঠামো ভেঙে ফেলা হবে না, সে বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দিতে হবে। সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়া গেলে বর্ধিত অংশটি ভেঙে ফেলার সতর্কতাও দেওয়া হয়েছে।

এই ভবনটি ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রয়াত অভিনেতা আল্লু রামলিঙ্গাইয়ার ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নির্মাণ শুরু হয়েছিল। এটি আল্লু পরিবারের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। তবে এই বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে ভবনটি এখন বিতর্কের মুখে। আল্লু অর্জুন বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

এর আগেও আল্লু অর্জুন বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। গত বছর তার সিনেমা ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’-এর একটি বিশেষ প্রদর্শনীতে পদপিষ্ট হয়ে একজন নারীর মৃত্যুর ঘটনায় তিনি সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। বর্তমানে তিনি পরিচালক অ্যাটলির সঙ্গে একটি বিগ-বাজেট সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র ‘এএ২২এক্সএ৬’-এর শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন, যেখানে তার সঙ্গে অভিনয় করছেন দীপিকা পাডুকোন।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.