Thursday, July 31, 2025

কলকাতায় বাংলাদেশি মডেল শান্তা পাল গ্রেপ্তার, জাল নথিপত্র উদ্ধার

কলকাতার যাদবপুরের বিক্রমগড় থেকে বাংলাদেশি মডেল ও অভিনেত্রী শান্তা পালকে গ্রেপ্তার করেছে পার্কস্ট্রিট থানার পুলিশ। তার কাছ থেকে ভারতের ভোটার কার্ড, আধার কার্ডসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শান্তা ২০২৩ সাল থেকে যাদবপুরের বিজয়গড়ে একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে বসবাস করছিলেন।

কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, শান্তার বিরুদ্ধে নথিপত্র জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত চলছে। তিনি কীভাবে ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র সংগ্রহ করেছেন এবং সেগুলো আসল না নকল, তা যাচাই করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শান্তা বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করতেন। সম্প্রতি ঠাকুরপুকুর থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়েরের সময়ও তিনি ভিন্ন ঠিকানা প্রদান করেছিলেন, যা পুলিশের সন্দেহ বাড়ায়।

তদন্তে নেমে পুলিশ শান্তার ফ্ল্যাট থেকে একাধিক বাংলাদেশি পাসপোর্ট, মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড এবং বিমান সংস্থার আইডি কার্ড উদ্ধার করেছে। তিনি কোন নথির ভিত্তিতে ভারতের আধার ও ভোটার কার্ড পেয়েছেন, তা খতিয়ে দেখতে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই) এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়া, রেশন কার্ড সংক্রান্ত তথ্য জানতে খাদ্য দপ্তরেও নথি পাঠানো হয়েছে।

শান্তা পাল মডেলিং ও অভিনয়ের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশের দুটি নামি প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করেছেন এবং একাধিক বিউটি কনটেস্টে অংশ নিয়েছেন। জানা যায়, ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ’ সিনেমার মাধ্যমে তার বড়পর্দায় অভিষেক হয়। এছাড়া, তিনি তামিল ছবি ‘ইয়েরালাভা’-তে কাজ করেছেন, যেখানে পরিচালক ছিলেন বিশ্বনাথ রাও।

পুলিশ এখন শান্তার স্বামী, যিনি অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা, এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে তদন্ত করছে। এছাড়া, অন্য কেউ এভাবে ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় কলকাতার লালবাজারের গুণ্ডাদমন শাখা শান্তাকে হেফাজতে নিয়ে দফায় দফায় জেরা করছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.