২৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী, যিনি ‘ইউফোরিয়া’ এবং ‘ম্যাডাম ওয়েব’ সিনেমার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন, দ্য টাইমস ইউকে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, খ্যাতির দ্রুত উত্থান তার জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। তিনি বলেন, “গোপনীয়তা খুব বড় ব্যাপার। এটা যে কতটা মূল্যবান, তা হারানোর পরেই বোঝা যায়। অনেকে বলে, ‘ওরা তো নিজেই বিক্রি হয়ে গেছে, ওরা জানত কীসে সই করছে।’ কিন্তু আমি সত্যিই জানতাম না আমি কীসে সই করছি।”
সিডনি আরও জানান, তার বাড়ির বাইরে পাপারাজ্জিদের ভিড় এবং মিডিয়ার নজরদারি তার কাছে ‘পাগলাটে’ ও ‘অবাস্তব’ মনে হয়। এই পরিস্থিতি তাকে আরও সতর্ক করে তুলেছে। এখন তিনি কেবল অল্প কয়েকজন বিশ্বাসযোগ্য মানুষের ওপরই ভরসা করেন।
আমেরিকান ঈগল বিজ্ঞাপন নিয়ে বিতর্ক
সিডনির এই মন্তব্য এমন সময় এসেছে, যখন আমেরিকান ঈগলের ‘Sydney Sweeney Has Great Jeans’ প্রচারণা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সমালোচকরা এই বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে ‘ইউজেনিক্স’ এবং ‘শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ’ প্রচারের অভিযোগ তুলেছেন। এই বিতর্কের জবাবে আমেরিকান ঈগল এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই প্রচারণা আসলে জিন্স নিয়ে, সিডনির জিন্স এবং তার গল্প নিয়ে। আমরা উদযাপন করতে চাই, কীভাবে আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের AE জিন্স পরি। দারুণ জিন্স সবার কাছেই ভালো লাগে।”
ক্যারিয়ারের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে সিডনি জানিয়েছেন, জনসম্মুখে থাকার চাপ তাকে বিশ্বাসের মূল্য বুঝতে শিখিয়েছে। তিনি বলেন, “আমি সবসময়ই সতর্ক ছিলাম, এখন আরও বেশি।” খ্যাতির আড়ালে এই অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে দেয়, গ্ল্যামারের পেছনে অনেক তারকাকেই ব্যক্তিগত জীবনের চড়া মূল্য দিতে হয়।