বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে অভিনেত্রী ঋত্বিকা সেনকে দেখা যেতে পারে—এমন গুঞ্জন ছিল বটে, কিন্তু সেই সম্ভাবনায় এবার জল ঢেলে দিয়েছে তাঁর সাম্প্রতিক কার্যকলাপ। গত ২১ জুলাই একটি রাজনৈতিক জমায়েতে তাঁর অনুপস্থিতি নতুন প্রশ্ন তুলেছে। তাহলে কি রাজনীতির ময়দানে পা রাখার পরিকল্পনা পিছিয়ে দিলেন ঋত্বিকা? নাকি এসবই ছিল কেবল গুজব? এই রহস্যের মাঝেই অভিনেত্রীকে দেখা গেল নতুন একটি থ্রিলার ছবির মহরত অনুষ্ঠানে। আতিউল ইসলাম পরিচালিত ‘মহরত’ নামের এই ছবিতে মীরের বিপরীতে জুটি বাঁধছেন ঋত্বিকা সেন। সঙ্গে থাকছেন দেবলীনা দত্ত, রজতাভ দত্ত, বিশ্বরূপ বিশ্বাস, অনিন্দিতা সোম ও দেবরাজ ভট্টাচার্যের মতো তারকারা।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ‘মহরত’ ছবির গল্প শুরু হয় কলকাতা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে একটি শুটিং স্থানে। শুটিংয়ের প্রথম দিনে শহরের নামকরা অভিনেত্রী অপর্ণা মুখার্জির গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হওয়ার ঘটনা দিয়ে ছবির রহস্যময় পর্দা ওঠে। অপর্ণার প্রাক্তন স্বামী সৃজন বন্দ্যোপাধ্যায় একজন প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক। গল্প যত এগোয়, ততই খুনের রহস্য উন্মোচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তদন্ত গভীরে গেলে সম্পর্কের জটিল সমীকরণ, মানুষের প্রতি হিংসা, অসৎ জীবনযাপন এবং প্রতিপত্তির শীর্ষে ওঠার জন্য কীভাবে কাছের মানুষও শত্রু হয়ে ওঠে—এসব বিষয় ফুটে ওঠে। ছবিতে মীরকে দেখা যাবে ঈশান চরিত্রে, আর ঋত্বিকা সেন অভিনয় করছেন মোহর চরিত্রে।
নিজের চরিত্র সম্পর্কে ঋত্বিকা বলেন, “মোহর একটি সাহসী চরিত্র। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো তার স্বভাব। আমি এখানে একজন রিপোর্টারের ভূমিকায় অভিনয় করছি, যিনি সমাজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। ছবির শুরুতে একজন নামী অভিনেত্রীর খুনের ঘটনা ঘটে। সবকিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার মধ্যে সেই অন্যায়কে সবার সামনে তুলে আনা মোহরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এই যুদ্ধে ঈশানের চরিত্রটিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
ছবিটির মুক্তির তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি, তবে ২০২৫ সালের মধ্যে এটি মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে, রাজনীতির ময়দানে পা রাখার বিষয়ে ঋত্বিকা এখনো কোনো নিশ্চিত বক্তব্য দেননি। তাঁর ভক্ত ও নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনা চলছে—ঋত্বিকা কি সিনেমার পথেই হাঁটবেন, নাকি রাজনীতির মঞ্চেও তাঁকে দেখা যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দিতে পারে।