শ্রাবন্তী বলেন, “নিজেকে খুবই লাকি মনে হয়েছিল। সচরাচর তো নারীকেন্দ্রিক সিনেমাই কম হয়, সেখানে এ রকম একটি চরিত্র— অফারটা পেয়ে খুব এক্সাইটেড হয়েছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “ঐতিহাসিক ঘটনাক্রমের অবলম্বনে এখন দাঁড়িয়ে সিনেমা তৈরি করা এবং সেখানে ‘দেবী চৌধুরাণী’ হিসেবে কাজের সুযোগ সত্যিই নিজেকে ভাগ্যবতী বলেই মনে হয়েছিল।”
অভিনেত্রী জানান, তিনি বরাবরই খুব ইমোশনাল। তিনি বলেন, “নিজেরটা নিয়ে খুব কমই ভেবেছি। এবার একটু ভাবছি। তাই যদি আগের নিজেকে পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ পেতাম, বলতাম— নিজেরটা একটু ভাবা উচিত। মাঝে মধ্যে একটু স্বার্থপর হওয়া উচিত।”
অতীত নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শ্রাবন্তী বলেন, “পাস্ট ইজ হিস্ট্রি। যেটা হয়ে গেছে, সেটা টাইমলাইনে ফিরে গিয়ে বদলাতে পারব না। সে জন্য আমি আর অতীতকে কখনো বর্তমানে নিয়ে আসি না। আমার কাছে প্রেজেন্টই সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
অভিনয়ের প্রতি তার ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অভিনয় জগতটাই তো আমার সবকিছু। আমার ধ্যান-জ্ঞান, ভালোবাসা, প্রেম— সবকিছু। এটা নিয়েই আমি ঘুমাই এবং জেগে থাকি। তাই এটা না থাকলে তো আমিও নেই। সে জন্যই দর্শকদের সামনে নিজেকে নতুনভাবে প্রমাণ করার তাগিদ বরাবর অনুভব করি।”
শ্রাবন্তী তার ক্যারিয়ারের শুরুর কথা স্মরণ করে বলেন, “আমার যখন আট-নয় বছর বয়স, তখন থেকে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যারিয়ার শুরু করেছি। তারপরও একটা লম্বা যাত্রাপথ। এই পথচলা নিয়ে আমি থাকতে চাই এবং বাঁচতে চাই।”
