‘বরবাদ’ সিনেমায় অভিনয় না করলেও, অভিনেত্রী ইধিকা পালের চরিত্রের কিছু অংশের ডাবিং করেছেন দিলরুবা দোয়েল। তিনি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন যে, এই কাজের পারিশ্রমিক তিনি এখনও পাননি। দোয়েল বলেন, “হৃদয় ভাই তার সহকারীকে দিয়ে ফোন করিয়ে বলেছিলেন, ইধিকা পালের চরিত্রের ডাবিং জরুরি ভিত্তিতে করে দিতে হবে। না হলে নাকি সেন্সর করা সম্ভব হচ্ছিল না। আমি স্পট পেমেন্টের শর্তে কাজ করতে রাজি হই। কিন্তু ডাবিং শেষ করার পরও আমি কোনো পারিশ্রমিক পাইনি। পরিচালককে বেশ কয়েকবার ফোন করেছি, তিনি আমার ফোন ধরেননি।”
তিনি আরও বলেন, “টাকার বিষয়টা আমার কাছে বড় ইস্যু নয়, কিন্তু এতে আমার প্রেস্টিজের প্রশ্ন আছে। তারা এত বড় ছবি বানায়, এত গলাবাজি করে, তাহলে তারাই অভিনয়, নির্মাণ, ডাবিং সবকিছু করুক। আমাদের দরকার কী? সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, হৃদয়ের সহকারীরা এমন আচরণ করেছেন, যেন তারা হলিউড থেকে এসেছে। এরাই নাকি বাজার লিড করছে! আমার হাসি পায়। তারা নিজেদের বড় ডিরেক্টর ভাবছেন, ২০-২৫ কোটি টাকা দিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন, কিন্তু দেশের শিল্পীদের পারিশ্রমিক দিতে পারেন না। অথচ রাত ১২টায় ফোন করে বলেন, তাদের কাজটা করে দিতেই হবে।”
এ বিষয়ে পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয় বলেন, “আমি জানতামই না যে কোনো আর্টিস্টের পেমেন্ট আটকে আছে। উনি যদি আমাকে ফোন দিয়ে থাকেন, তাহলে হয়তো ব্যস্ততার কারণে বা অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসায় ধরা হয়নি। উনার নম্বর আমার কাছে নেই। একটা টেক্সট করে রাখলে হয়তো কথা বলতে পারতাম। আমি নিজে উনার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করিনি।” তিনি আরও জানান, “এই সিনেমায় আমার সহকারী ছিলেন বাংলাদেশের আজাদ ভাই, বাকিরা ছিলেন ইন্ডিয়ান। আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না।”
এই বিতর্ক ‘বরবাদ’ সিনেমার বিশাল সাফল্যের মাঝে একটি দুঃখজনক অধ্যায় হিসেবে সামনে এসেছে। ছবিটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২৭৪.৩ কোটি টাকার গ্রস কালেকশন করেছে বলে জানিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন। সিনেমাটি আইএমডিবি’র বিশ্বের শীর্ষ ১০০ জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের তালিকায় ৪৪তম স্থান অধিকার করেছে। তবে এই অভিযোগ ঢালিউডের শিল্পীদের প্রতি নির্মাতাদের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।