Sunday, August 3, 2025

জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের বিলাসী কাণ্ড: শ্রীলঙ্কায় ৭ কোটি টাকার ব্যক্তিগত দ্বীপ কিনেছেন বলিউড তারকা

বলিউডের নামী অভিনেত্রীদের মধ্যে বিলাসী জীবনযাপনে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা যেন চিরকালের। দামি গাড়ি, বিদেশি ভিলা, প্রাইভেট জেট, মহামূল্যবান জুয়েলারি—এসব কেনার তালিকায় কমতি নেই তাদের। কিন্তু একটি আস্ত দ্বীপ? সেটিই করে দেখিয়েছেন শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। তিনি দীপিকা পাড়ুকোন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বা আলিয়া ভাট নন, বরং বলিউডের একমাত্র নায়িকা যিনি নিজের নামে একটি ব্যক্তিগত দ্বীপের মালিক।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জ্যাকুলিন ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ উপকূলের কাছে চার একরের একটি ব্যক্তিগত দ্বীপ কিনেছেন। এই দ্বীপের মূল্য ছিল প্রায় ৬ লাখ মার্কিন ডলার, যা বর্তমান বাংলাদেশি টাকায় ৭ কোটি ৩৩ লাখেরও বেশি। দ্বীপটি শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারার মালিকানাধীন আরেকটি দ্বীপের কাছাকাছি অবস্থিত, যা এই সম্পত্তিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্যাকুলিনের পরিকল্পনা ছিল এই দ্বীপে একটি বিলাসবহুল ভিলা নির্মাণের। তবে এটি নিজের ব্যক্তিগত ছুটি কাটানোর জন্য নাকি পর্যটনের জন্য রিসোর্ট হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। দ্বীপে কোনো পার্টি বা সেলিব্রিটি সফরের খবরও প্রকাশ্যে আসেনি।

২০০৬ সালে মিস শ্রীলঙ্কা খেতাব জিতে ক্যারিয়ার শুরু করা জ্যাকুলিন ২০০৯ সালে ‘আলাদিন’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। এরপর ‘মার্ডার ২’, ‘হাউসফুল’ সিরিজ, ‘রেস ২’ এবং ‘কিক’-এর মতো ব্যবসাসফল ছবিতে অভিনয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। সম্প্রতি তাকে দেখা গেছে ‘হাউসফুল ৫’ ছবিতে, যা বক্স অফিসেও দারুণ সাফল্য পেয়েছে।

তবে, পর্দার বাইরে জ্যাকুলিনকে কিছু বিতর্কের মুখেও পড়তে হয়েছে। ২০০ কোটি রুপির একটি প্রতারণা মামলায় জড়িয়ে তিনি একাধিকবার ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন। এই মামলা এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।

জ্যাকুলিনের এই দ্বীপ ক্রয়ের খবর বলিউডে ব্যাপক চর্চার জন্ম দিয়েছে। তার এই সম্পত্তি শুধু বিলাসিতার প্রতীকই নয়, বরং বলিউড তারকাদের মধ্যে তাকে একটি অনন্য অবস্থানে নিয়ে গেছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.