হলিউডের মতো বলিউডেও নিয়মিত সিক্যুয়াল সিনেমা নির্মিত হলেও, এর সাফল্যের হার অনেক কম। বিশেষ করে কমেডি ও ভৌতিক গল্পের সিক্যুয়ালে প্রাধান্য থাকলেও, থ্রিলার ও অ্যাকশন ঘরানার সিনেমাও নির্মিত হয়। তবে প্রথম সিনেমার তুলনায় সিক্যুয়াল যদি মানসম্পন্ন না হয়, তাহলে তা ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয় এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতি দর্শকদের আগ্রহ কমে যায়। এই প্রতিবেদনে দর্শকদের কাছে বিরক্তিকর ও হতাশাজনক পাঁচটি বলিউড সিক্যুয়াল সিনেমার তালিকা তুলে ধরা হলো।
৫. ভূত রিটার্নস (২০১২)
রাম গোপাল ভার্মা পরিচালিত এই সিনেমাটি বর্তমানে প্রাইম ভিডিওতে স্ট্রিমিং হচ্ছে। এর আইএমডিবি রেটিং ২.৭/১০। ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ভূত’ ছিল হিন্দি সিনেমার প্রথম উল্লেখযোগ্য ভৌতিক সিনেমা, যেখানে রেখা, অজয় দেবগন, নানা পাটেকর, ফারদিন খান ও উর্মিলার অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। কিন্তু ২০১২ সালে ‘ভূত রিটার্নস’-এ জে.ডি. চক্রবর্তী ও মণীষা কৈরালার দুর্বল অভিনয় এবং অদ্ভুত গল্প, যেমন পোকামাকড় খাওয়ার দৃশ্য, দর্শকদের মধ্যে বিরক্তি সৃষ্টি করেছে।
৪. হাঙ্গামা-২ (২০২১)
প্রিয়দর্শন পরিচালিত এই সিনেমা জিওহটস্টারে স্ট্রিমিং হচ্ছে, যার আইএমডিবি রেটিং ৩.২/১০। ২০০৩ সালের ‘হাঙ্গামা’ তার অসাধারণ কমেডি ও নিখুঁত অভিনয়ের জন্য দর্শকপ্রিয় ছিল। তবে ‘হাঙ্গামা-২’ প্রিয়দর্শনের মালায়ালাম সিনেমা ‘মিন্নারাম’-এর পুনর্নির্মাণ হিসেবে তৈরি হলেও, এটি দর্শকদের হতাশ ও বিরক্ত করেছে।
৩. বান্টি অউর বাবলি-২ (২০২১)
বরুণ ভি. শর্মা পরিচালিত এই সিনেমা প্রাইম ভিডিও ও অ্যাপল টিভি প্লাসে স্ট্রিমিং হচ্ছে। এর আইএমডিবি রেটিং ৪.১/১০। মূল ‘বান্টি অউর বাবলি’ তার গান ও বিনোদনের জন্য জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু সিক্যুয়ালটি করোনাকালীন সময়ে তৈরি এলোমেলো ‘কন ড্রামা’ হিসেবে বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়, খরচের অর্ধেক আয় করতে পারেনি এবং দর্শকদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়েছে।
২. রিটার্ন অব জুয়েল থিফ (১৯৯৬)
অশোক ত্যাগী পরিচালিত এই সিনেমা ইউটিউবে স্ট্রিমিং হচ্ছে, আইএমডিবি রেটিং ৪.৪/১০। ১৯৬৭ সালের বিজয় আনন্দের ক্লাসিক ‘জুয়েল থিফ’ তার গল্প, অভিনয় ও সংগীতের জন্য অমর। কিন্তু ২৯ বছর পর অশোক কুমার ও দেব আনন্দকে নিয়ে নির্মিত এই সিক্যুয়ালটি জ্যাকি শ্রফ, মাধু, অনু আগরওয়াল ও শিল্পা শিরোদকরের অভিনয়েও ব্যর্থতা থেকে রক্ষা পায়নি। যদিও যতীন-ললিতের গান কিছুটা প্রশংসিত হয়েছে, তবু দর্শকদের বিরক্তি এড়াতে পারেনি।
১. ভেজা ফ্রাই-২ (২০১১)
সাগর ব্যালারি পরিচালিত এই সিনেমা প্রাইম ভিডিও ও ইউটিউবে স্ট্রিমিং হচ্ছে, আইএমডিবি রেটিং ৪.৮/১০। ২০০৭ সালের ‘ভেজা ফ্রাই’ ছিল সুপার-হিট কমেডি, যা ফরাসি সিনেমা ‘লে ডিনার ডি কনস’-এর রিমেক হলেও বাজেটের ছয় গুণ আয় করেছিল। কিন্তু ‘ভেজা ফ্রাই-২’ বিদেশে শুটিং ও উচ্চাভিলাষী গল্প সত্ত্বেও ব্যর্থ ও বিরক্তিকর হয়ে দর্শকদের হতাশ করেছে।