Tuesday, August 19, 2025

আমিশা প্যাটেলের ফাঁস করা ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’র সেটের গল্প, ফারাহ খানের মজার গালাগাল

 বলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল তাঁর অভিষেক সিনেমা ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’র শুটিংয়ের কিছু অজানা ঘটনা ফাঁস করে আলোচনায় এসেছেন। ২৫ বছর পর সম্প্রতি তিনি জানান, সিনেমাটির কোরিওগ্রাফার ফারাহ খান সেটে প্রায়ই মজার ছলে মা-বোন তুলে গালাগাল করতেন। তবে আমিশা স্পষ্ট করেছেন, এটি ছিল তাঁদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অংশ। এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

সম্প্রতি ফারাহ খান তাঁর ভ্লগে জানান, তিনি আমিশা প্যাটেলের মুম্বাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁদের পুরোনো বন্ধুত্বের নানা মুহূর্ত ক্যামেরায় ধরা পড়ে। আড্ডার ফাঁকে তাঁরা ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ সিনেমার স্মৃতিচারণ করেন।

২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমার মাধ্যমে আমিশা প্যাটেল ও হৃতিক রোশন বলিউডে অভিষেক করেন। প্রথম সিনেমাতেই তাঁরা রাতারাতি তারকা বনে যান। ব্লকবাস্টার এই সিনেমা এবং হৃতিক-আমিশার জুটি দর্শকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।

ফারাহ খানের ভ্লগে আড্ডার সময় আমিশা হাসতে হাসতে জানান, ফারাহ কীভাবে তাঁদের বকাঝকা করতেন এবং মজার ছলে মা-বোন তুলে গালাগাল করতেন। তবে তিনি বলেন, “এটি ছিল আমাদের মজার সম্পর্ক। ফারাহ সবসময় আমাদের প্রতি স্নেহশীল ছিলেন।”

আমিশা আরও বলেন, “আমরা সাধারণ ছেলেমেয়ে থেকে রাতারাতি তারকা হয়ে গিয়েছিলাম। রোহিত আর সোনিয়া যেন জাতীয় ক্রাশ হয়ে গিয়েছিল। এটি কোনো সাধারণ সিনেমা ছিল না। মানুষ এই চরিত্র দুটিকে গ্রহণ করেছিল। আমি বহুদিন ধরে এই সিনেমার মধ্যে ডুবে ছিলাম। কীভাবে এটা হলো, জানি না। এটি একটি অলৌকিক অভিজ্ঞতা ছিল।”

‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’র সাফল্যের পর আমিশার ক্যারিয়ারে ধস নামে। একের পর এক সিনেমা বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি বড় ধাক্কার মুখে পড়েন। তবে ২২ বছর পর ‘গদর-২’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি আবারও বলিউডে সাফল্যের মুখ দেখেন। আমিশা বলেন, “আমি কখনো হাল ছাড়িনি। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এবং নিজের জীবনে লড়াই করেছি। এখন আমি আরও শক্তভাবে ফিরে এসেছি।”


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.