তবে, ‘ইশক মুরশিদ’র সাফল্যের পর থেকে দুর-ই-ফিশান ও বিলাল আব্বাসের গোপনে বিয়ে করার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর এক ইউটিউবারের এমন দাবির পর জল্পনা আরও তীব্র হয়। নাটকটির প্রচারণামূলক ইভেন্টগুলোতে তাদের যৌথ উপস্থিতি এই গুজবকে আরও উসকে দেয়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রথমবারের মতো এই গুজব নিয়ে মুখ খুলেছেন দুর-ই-ফিশান। তিনি বলেন, “এই গুজবগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যদি সত্যিই এরকম কিছু ঘটত, তাহলে এতক্ষণে ছবি প্রকাশ হয়ে যেত।”
বিলাল আব্বাসের সঙ্গে তার ভালো পেশাদার সম্পর্ক থাকলেও, গোপন সম্পর্কের খবরে কোনো সত্যতা নেই বলে স্পষ্ট করেন তিনি। দুর-ই-ফিশান বলেন, “সেটে আমাদের মধ্যে ভালো স্বাচ্ছন্দ্য ছিল। আমরা অনেক হাসতাম, কারণ আমরা দুজনেই ছোট ছোট জিনিসে আনন্দ খুঁজে পাই।” তবে তিনি জানান, তাদের রসায়ন কেবল অন-স্ক্রিন ভূমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
স্থানীয় মিডিয়ায় যাচাই না করা ব্যক্তিগত গল্প প্রকাশের প্রবণতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বিবাহ একটি ব্যক্তিগত বিষয়, কিন্তু যদি এত গুরুত্বপূর্ণ জীবনের ঘটনা ঘটত, তাহলে লোকেরা তা শেয়ার করতে দ্বিধা করত না। এত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত কেউ গোপন করে না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের মিডিয়া ভারতীয় ধাঁচের সাংবাদিকতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হতে শুরু করেছে, যেখানে প্রায়শই তথ্য যাচাই ছাড়াই জল্পনা উপস্থাপন করা হয়।”
এছাড়া, টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে মাত্র পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে পাওয়া ভালোবাসা ও স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দুর-ই-ফিশান। তিনি বলেন, “এটা খুব বেশি দিন নয়, কিন্তু এত প্রশংসা পেয়ে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। কখনো কখনো, এটি আমাকে ভয়ও দেয়।”