নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে ভাবনা লিখেছেন, “জন্মদিন মানেই মৃত্যুর দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। আমার এবারের জন্মদিনটা কাটলো খুবই মায়াময় মানুষদের সঙ্গে। কোনো অনুষ্ঠান বা আয়োজন নয়। আমার ভালোবাসার মানুষেরা এভাবেই আমাকে আগলে রাখে, তাদের আশীর্বাদে আমি অনেক কৃতজ্ঞ।”
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, “সব অনুভূতি লিখবো না, কারণ লিখে ফেললেই তো শেষ হয়ে গেল। এই ভালোবাসা থাকুক আমার মনের গহীনে। যারা আমাকে ভালোবাসে, আমার কাছে আছো—তোমরাই তো আমার সব। তোমাদের পাশে রেখো এভাবেই প্লিজ।”
জন্মদিনে সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন এই অভিনেত্রী। তিনি লিখেছেন, “সারাদিন ফেসবুকে আমার কলিগ, শুভাকাঙ্ক্ষী, ভক্তরা খুব সুন্দর সুন্দর কথা লিখে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সাংবাদিকরা আমাকে নিয়ে মিষ্টি মিষ্টি নিউজ করেছেন। সবার ভালোবাসা আমি মাথায় তুলে রাখলাম। অনেক কৃতজ্ঞতা।”
এদিকে, জন্মদিনের সকালটা ভাবনা কাটিয়েছেন শিশুদের সঙ্গে, যা তার কাছে ছিল মধুর ও স্মৃতিময়। তিনি বলেন, “শিশুদের কল্পনা ও স্বপ্নের জগৎ এত সরল, এই সরলতাকে আমরা হারিয়ে ফেলি বড় হতে গিয়ে। আমাদের বড় হতে ভালো লাগে না, তাই শিশুদের কাছেই আমি আনন্দ পাই। আমাকে শিশুরা প্রাণভরে ভালোবাসে। ওদের সঙ্গে আজকের সকালটা কী যে মধুর।”
এই আয়োজনে ভাবনার সহযোগী ছিল ‘ছায়াতল বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “ছায়াতল বাংলাদেশকে অনেক ধন্যবাদ, আমার জন্মদিনকে আনন্দে ভরে দেওয়ার জন্য। এক জীবনে আল্লাহ মালিকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, আমাকে এত আদর দেওয়ার জন্যে।”
ভাবনার এই সাদামাটা কিন্তু মমতাময় জন্মদিনের গল্প প্রমাণ করে, ভালোবাসার চেয়ে বড় কোনো আয়োজন আর হতে পারে না।