অভিনয় শুধুমাত্র চাকচিক্য আর আলো-ঝলমলে দুনিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এর পেছনে রয়েছে শারীরিক কষ্ট, মানসিক চাপ এবং আত্মত্যাগ। বলিউড অভিনেত্রী ইশা কোপিকার সম্প্রতি এমনই এক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন, যেখানে তাঁকে তেলেগু ছবি ‘চন্দ্রলেখা’র একটি দৃশ্যের জন্য সহ-অভিনেতা নাগার্জুনার কাছ থেকে টানা ১৪ বার চড় খেতে হয়েছিল।
হিন্দি রাশকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইশা জানান, তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘চন্দ্রলেখা’র শুটিংয়ের সময় তিনি ‘মেথড অ্যাক্টিং’-এর মধ্যে পুরোপুরি ডুবে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমি নাগার্জুনাকে নিজেই বলেছিলাম, আমাকে আসলেই চড় মারো। নইলে দৃশ্যের আবেগ ঠিকমতো ফুটে উঠবে না। প্রথমে তিনি রাজি হচ্ছিলেন না, বারবার বলছিলেন, ‘না, আমি পারব না।’ কিন্তু আমি জোর করায় শেষ পর্যন্ত তিনি নরমভাবে চড় মারেন।”
কিন্তু পরিচালক কৃষ্ণ ভামসি ক্যামেরায় প্রত্যাশিত আবেগ ধরতে পারছিলেন না। ফলে বারবার টেক নিতে হয়। ইশা বলেন, “শেষ পর্যন্ত আমাকে ১৪ বার চড় খেতে হলো। গালে দাগ পড়ে গিয়েছিল। বেচারা নাগার্জুনা বারবার ‘সরি’ বলছিলেন। আমি বললাম, আমি নিজেই তো বলেছি, তবে সরি কেন?” তিনি হেসে এই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন।
কৃষ্ণ ভামসির পরিচালনায় ‘চন্দ্রলেখা’ ছিল একটি মালয়ালম ছবির রিমেক। এতে ইশা ও নাগার্জুনার পাশাপাশি অভিনয় করেছেন রাম্যা কৃষ্ণন ও মুরালি মোহন। এটি ইশার তেলেগু চলচ্চিত্রে অভিষেক ছিল, এবং এই অভিজ্ঞতা তাঁর মনে চিরদিনের জন্য দাগ কেটেছে।
ইশা কোপিকার বলিউডে একটি পরিচিত নাম। তিনি ‘ডন’, ‘এলওসি কারগিল’, ‘সালাম-ই-ইশক’সহ বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং বহুমুখী চরিত্রে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন। সম্প্রতি তাঁকে ২০২৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বিজ্ঞান কল্পকাহিনি-নির্ভর তামিল ছবি ‘আয়ালান’-এ দেখা গেছে, যা বিশ্বজুড়ে ৭৬.৫ কোটি রুপি আয় করেছে।