Monday, August 4, 2025

সন্তানকে ঘিরে সাইবার বুলিং, প্রতিবাদ করে সাহসিকতার নজির গড়লেন দেবলীনা ভট্টাচার্য

 

টেলিভিশনের জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেত্রী **দেবলীনা ভট্টাচার্য** সম্প্রতি এক ভয়াবহ সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন—তাও আবার তাঁর মাত্র সাত মাসের সন্তান **জয়**কে ঘিরে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুপুত্রকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে হাজার হাজার কুরুচিপূর্ণ, বিদ্রূপমূলক ও বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য। এমন অমানবিক আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সাইবার সেলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছেন দেবলীনা।

স্বামী **শাহবাজ শেখ**ের সঙ্গে দেবলীনার একমাত্র সন্তান জয়কে নিয়ে প্রায়ই ছবি ও ভিডিও শেয়ার করতেন ইনস্টাগ্রামে। তবে সম্প্রতি কিছু ব্যবহারকারী জয়কে লক্ষ্য করে অশালীন ও অবমাননাকর মন্তব্য করতে থাকেন, বিশেষ করে শিশুটির গায়ের রংকে কেন্দ্র করে।

দেবলীনা জানান, তাঁর ছেলেকে নিয়ে **দুই হাজারের বেশি নেতিবাচক মন্তব্য** করা হয়েছে। বিষয়টি আর সহ্য করতে না পেরে তিনি কিছু মন্তব্যের স্ক্রিনশট নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করে জানান, **তিনি সাইবার ক্রাইম সেলে অভিযোগ দাখিল করেছেন।** পাশাপাশি, সাইবার ক্রাইম কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপচারিতার স্ক্রিনশটও তিনি প্রকাশ করেন।

তবে ট্রলের মধ্যেও আশার আলো দেখছেন দেবলীনা। জানালেন, ছেলেকে ঘিরে **সাত হাজারের বেশি ইতিবাচক মন্তব্য** পেয়েছেন তিনি। সবার ভালোবাসা, আশীর্বাদ ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই অভিনেত্রী।

দেবলীনা বলেন, ‘আমি সব মাকে বলব, যদি এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, চুপ করে থাকবেন না। আপনার সন্তানকে রক্ষা করা আপনার দায়িত্ব। প্রতিবাদ করুন, সাহসিকতার সঙ্গে রুখে দাঁড়ান।’

দেবলীনার এই প্রতিবাদী অবস্থান সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে। এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লেখেন, ‘মাত্র সাত মাসের শিশুকে নিয়ে এত ঘৃণা ছড়ানো—এই সাহস তারা কীভাবে পেল? আপনি প্রতিবাদ করে আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন।’

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে দেবলীনা বিয়ে করেন তাঁর জিম প্রশিক্ষক শাহবাজ শেখকে। ২০২৩ সালে তাঁদের সন্তান জয় জন্ম নেয়। ‘**সাথ নিভানা সাথিয়া**’ ধারাবাহিকে ‘গোপী মোদি’ চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান দেবলীনা। এরপর রিয়ালিটি শো ‘**বিগ বস**’-এ অংশ নিয়ে আরও পরিচিতি লাভ করেন এই টিভি তারকা।



Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.