Monday, August 4, 2025

সিডনিতে ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’র বিশেষ প্রদর্শনী, ক্যানসার কাউন্সিলের জন্য অর্থ সংগ্রহ

 
বাংলাদেশের কালজয়ী চলচ্চিত্র **‘সূর্য দীঘল বাড়ি’**–র এক বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হলো অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। গত রোববার সিডনির মিন্টো শহরতলির ‘জমিদার বাড়ি’ রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চলচ্চিত্র পরিবেশক সংস্থা **বঙ্গজ ফিল্মস**।
‘**বিগেস্ট মর্নিং টি**’ শীর্ষক এই আয়োজন থেকে প্রাপ্ত সকল অর্থ **অস্ট্রেলিয়ার ক্যানসার কাউন্সিলের** তহবিলে দান করা হবে বলে জানান আয়োজকেরা।

অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন ছবিটির অন্যতম পরিচালক **মসিউদ্দিন শাকের**। ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পর তিনি দর্শকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন এবং ছবিটির নির্মাণ-প্রক্রিয়া ও পেছনের গল্প তুলে ধরেন।

আয়োজক **তানিম মান্নান** বলেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোবাসা এবং একটি মহৎ উদ্দেশ্যকে একত্র করতেই এ আয়োজন।’
পরিচালক মসিউদ্দিন শাকের প্রথম আলোকে বলেন, ‘সীমাবদ্ধতার কারণে বড় পরিসরে আয়োজন করা সম্ভব না হলেও আয়োজকদের মানসিকতা সত্যিই প্রশংসনীয়। “সূর্য দীঘল বাড়ি” ছবিতে নারীর সংগ্রামের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা আজও আমাদের সমাজে প্রাসঙ্গিক।’

পরিচালকের সহধর্মিণী ও সমাজকর্মী **জেবুন নেসা** বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে সুস্থ জীবনধারা নিয়ে “হীল” নামে একটি সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করি। এখানে ক্যানসার কাউন্সিলের জন্য এমন একটি মহৎ আয়োজন দেখে খুব ভালো লেগেছে। একইসঙ্গে একটি অসাধারণ ছবি দেখা এবং মানবিক উদ্যোগের অংশ হতে পারাটা আনন্দের।’

সিডনির সংগীতশিল্পী **মামুন হাসান খান** বলেন, ‘পরিচালকের উপস্থিতিতে ছবিটি দেখা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। তবে প্রদর্শনীর স্থানটি যদি আরও উন্নত হতো, অভিজ্ঞতাটা আরও পরিপূর্ণ হতো।’

উল্লেখ্য, **আবু ইসহাকের কালজয়ী উপন্যাস** অবলম্বনে নির্মিত ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ ছিল বাংলাদেশের প্রথম সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন **মসিউদ্দিন শাকের** ও **শেখ নিয়ামত আলী**। নারী জীবনের সংগ্রাম ও সামাজিক বাস্তবতাকে ঘিরে নির্মিত এই চলচ্চিত্র আজও বাংলাদেশের সিনেমায় এক অনন্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.