নিশো হাস্যরসের সঙ্গে বলেন, “ছোটবেলায় আমার ইচ্ছা ছিল এয়ারফোর্সে যোগ দেব। তখন প্রেমিকা বলল, ‘আকাশে উড়লে তুমি পড়ে মরে যাবা। এয়ারফোর্সে যাবে না, বড়জোর আর্মড ফোর্সে যেতে পার।’ আব্বা চাইতেন আর্মড ফোর্সে যাই, মা বলতেন ডাক্তার হতে হবে, পাশের বাড়ির আন্টি বলতেন ইঞ্জিনিয়ার হলে ভালো। শেষমেশ কারো কথা না শুনে আমি হয়ে গেলাম অভিনেতা।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলায় জানতামই না অভিনেতা হব। নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, আপনার সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত কীভাবে কাটে? কোন কাজে আপনার আরাম লাগে? আমার কাছে আরাম খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি পড়াশোনা শেষ করে অভিনয়ে এসেছি, যেটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু অভিনয় শুরু করার পর এটাকে প্যাশনের সঙ্গে পেশা হিসেবে নিয়েছি। এখন এটা আমার জীবিকা।”
নিশো শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন, যেকোনো কাজে মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে। তিনি জানান, তাঁর গেম খেলার নেশা আছে এবং পুরোনো গাড়ির প্রতি ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। “যখন যে কাজ করি, মন দিয়ে করি,” বলেন তিনি। প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এই অভিনেতা।
‘সুড়ঙ্গ ২’ সিনেমার মুক্তির বিষয়ে এক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে নিশো জানান, তাঁর হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় শারীরিকভাবে ফিট হওয়ার জন্য অপারেশন প্রয়োজন। তিনি মজা করে বলেন, “এটা এর আগে কখনো বলিনি, এই প্রথম শেয়ার করলাম। এটা জানলে অনেকে আমাকে কাজে নেবে না, বলবে ‘তোমার তো পা ভাঙা’।” তিনি আরও বলেন, “ ‘সুড়ঙ্গ ২’ কবে আসবে, সেটা নির্মাতা রায়হান রাফী জানেন। আমাকেও ফিজিক্যালি ফিট হতে হবে।”
নিশোর এই বক্তব্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। তাঁর জীবনের গল্প এবং পরামর্শ শিক্ষার্থীদের নিজের লক্ষ্য নির্ধারণে অনুপ্রাণিত করেছে।