কপিল শর্মা কানাডায় ব্যবসার লক্ষ্যে এই ক্যাফে চালু করেছিলেন। উদ্বোধনের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ক্যাফেটি হুমকি-ধমকির সম্মুখীন হয়। এরপর গত ৯ জুলাই রাতে প্রথমবার এই ক্যাফেতে গুলি চালানো হয়। এক মাস পেরোতে না পেরোতেই দ্বিতীয়বারের হামলা ঘটে।
লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে বলিউড তারকা সালমান খানের দীর্ঘদিনের শত্রুতা কারো অজানা নয়। ১৯৯৮ সালে রাজস্থানে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ডে সালমান খানের নাম জড়ানোর পর থেকে তিনি এই গ্যাংয়ের নিশানায় রয়েছেন। এই শত্রুতার জেরে সালমানের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদেরও লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবা সিদ্দিকীকে হত্যা করে এই গ্যাং। এবার কপিল শর্মার কমেডি শো ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’তে সালমান খানকে আমন্ত্রণ জানানোর কারণে তিনি এই গ্যাংয়ের নিশানায় পড়েছেন।
একটি বিস্ফোরক অডিও ক্লিপে গোল্ডি ধিঁলো এই হামলার দায় স্বীকার করেছেন। অডিও বার্তায় বিষ্ণোই গ্যাং স্পষ্ট জানিয়েছে, সালমান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই কপিলের ক্যাফেতে গুলি চালানো হয়েছে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ভবিষ্যতে যে কেউ সালমানের সঙ্গে কাজ করবে, তাকে ‘বুকে গুলি’ করে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে।
এদিকে, সালমান খানের জীবন নিয়ে শঙ্কা, তারকাদের ওপর একের পর এক হামলা এবং হুমকি-ধমকির ঘটনায় বলিউড ইন্ডাস্ট্রির একাংশ ক্ষুব্ধ। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সংগঠন ‘ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন’ নিরাপত্তার দাবিতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা জানিয়েছে, সালমান খান, বাবা সিদ্দিকী এবং সাইফ আলি খানের ওপর সাম্প্রতিক হামলাগুলো গুরুতর উদ্বেগের কারণ। এই ঘটনাগুলো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির হাজার হাজার মানুষের জীবিকার ওপর হুমকি সৃষ্টি করছে।
সংগঠনটি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে বিশেষ আবেদন জানিয়েছে। তারা অনুরোধ করেছে, তিনি যেন কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ভারতীয় তারকাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। এই ঘটনাগুলো ভারত-কানাডা নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।