এক বিবৃতিতে উচ্ছ্বসিত রানী বলেন, “‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’র জন্য জাতীয় পুরস্কার জয় করে আমি আপ্লুত ও অভিভূত। আমার ৩০ বছরের অভিনয়জীবনের এটি প্রথম জাতীয় পুরস্কার। একজন শিল্পী হিসেবে আমি ভাগ্যবান যে বিভিন্ন অভিনব সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছি এবং দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছি। জাতীয় পুরস্কারের জুরিদের ধন্যবাদ জানাই আমার অভিনয়কে সম্মানিত করার জন্য। এই মুহূর্ত আমি আমার ছবির দল, প্রযোজক নিখিল আদভানি, মনীশা, মধু এবং পরিচালক অসীমা ছিব্বারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। এই স্বীকৃতি আমার কাজ ও নিষ্ঠার প্রমাণ।”
সত্য ঘটনার আধারে নির্মিত ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ একজন মায়ের সন্তানদের ফিরে পাওয়ার জন্য অদম্য লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরে। রানীর অভিনয়ে এক মায়ের যন্ত্রণা, অসহায়তা, সাহস, আত্মত্যাগ ও জেদ দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তিনি বলেন, “ছবির কাহিনি আমার হৃদয়কে চূর্ণ করেছিল। মা হওয়ার পর সন্তানের প্রতি শর্তহীন ভালোবাসা আমি অনুভব করেছি। এই জয় আমার কাছে অত্যন্ত আবেগের ও ব্যক্তিগত। আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম, একজন মা তাঁর সন্তানের জন্য পাহাড়ও নাড়াতে পারেন। এই পুরস্কার আমি বিশ্বের সব মায়ের প্রতি উৎসর্গ করছি।”
রানী তাঁর ভক্তদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আমার সারা বিশ্বের অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানাই, যারা আমার ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে নিরলসভাবে সমর্থন করেছেন। আপনাদের শর্তহীন ভালোবাসা ও সমর্থন আমাকে ভালো কাজ করতে প্রেরণা দেয়। আপনারা আমাকে বিভিন্ন চরিত্রে গ্রহণ করেছেন, এটা আমার জন্য অনেক বড় বিষয়। আপনাদের ছাড়া আমি কিছুই হতে পারতাম না।”
রানী ১৯৯৬ সালে বাংলা সিনেমা ‘বিয়ের ফুল’ দিয়ে অভিনয় শুরু করেন, যার পরিচালক ছিলেন তাঁর বাবা রাম মুখোপাধ্যায়। একই বছরে তাঁর প্রথম বলিউড ছবি ‘রাজা কি আয়েগি বরাত’ মুক্তি পায়। ‘গুলাম’, ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’, ‘সাথিয়া’, ‘ব্ল্যাক’, ‘বীর জারা’, ‘হিচকি’, ‘মর্দানি’র মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় সমালোচক ও দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। আগামী দিনে শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘কিং’ এবং ‘মর্দানি’র তৃতীয় কিস্তিতে তাঁকে দেখা যাবে।