গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে তনুশ্রী দাবি করেন, গত ৪-৫ বছর ধরে তিনি ঘরের ভেতরে নানা ধরনের হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। ভিডিওতে কাঁদতে কাঁদতে তিনি জানান, নিজের বাড়িতেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। পরিচারিকা নিয়োগ করতে পারছেন না, কারণ পরিচারিকার ছদ্মবেশে কেউ তার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।
তনুশ্রী বলেন, “আমার পরিণতিও সুশান্তের মতো হতে পারে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। বলিউডের মাফিয়া গ্যাং আমাকে টার্গেট করেছে।”
ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, “আমি সরকারের কাছে সুরক্ষার দাবি জানাচ্ছি। এই মাফিয়াদের সঙ্গে আমি পারব না। তারা খুবই ভয়ংকর। পুলিশ যেন বিষয়টি আমার পুরোনো অভিযোগের সঙ্গে গুলিয়ে না ফেলে। আমি দ্রুত তদন্ত শুরুর অনুরোধ জানাচ্ছি।”
তনুশ্রী দত্ত ২০০৫ সালে ইমরান হাশমির সঙ্গে ‘আশিক বানায়া আপনে’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে প্রবেশ করেন। তরুণদের মধ্যে তার আবেদনময়ী উপস্থিতি আলোড়ন তোলে। তবে কয়েকটি সিনেমার পর তিনি বলিউড থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন।
২০১৮ সালে তিনি আবার আলোচনায় আসেন, যখন তিনি বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনেন। ঘটনাটি দেশজুড়ে আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। তবে সেই মামলায় পরে নানা পাটেকার অব্যাহতি পান। এরপর থেকেই প্রায় আড়ালে চলে যান তনুশ্রী।
বর্তমানে আধ্যাত্মিকতায় মনোযোগী তনুশ্রী ব্যক্তিগত জীবনে এখনো অবিবাহিত। বলিউড থেকে দূরে থাকা এই অভিনেত্রী ফের আলোচনায় আসার পেছনে তার সাম্প্রতিক অভিযোগ এবং ভিডিও বার্তাই এখন মূল কারণ।
তিনি যদিও বলিউড মাফিয়া গ্যাংয়ের কারা সদস্য, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তবে তার দাবি, প্রতিনিয়ত মানসিক চাপে রয়েছেন এবং ভীত-সন্ত্রস্ত জীবন কাটাচ্ছেন।
সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রেক্ষাপট স্মরণ করিয়ে দিয়ে তনুশ্রী বলেছেন, “আমি চাই না আমার সঙ্গেও এমন কিছু হোক। আমি সাহায্য চাই। এখনই সময় আমার কথা শোনার।”
তনুশ্রীর এই বক্তব্যে সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ তার সাহসের প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ কেউ অভিযোগের পেছনে প্রকৃত তথ্য জানতে চেয়েছেন। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত—তনুশ্রী দত্ত আবার আলোচনার কেন্দ্রে ফিরে এসেছেন।