তদন্ত কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, হুমাইরার মৃত্যু স্বাভাবিক বা দুর্ঘটনাজনিত হলেও ঘটনাটি ঘিরে বেশ কিছু অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। বিশেষ করে, তার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া কয়েকটি মাটির পাত্রে রাখা রহস্যজনক সাদা পাউডার নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। পুলিশ জানায়, ওই পাউডারগুলো পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
তবে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ল্যাবে হুমাইরার দেহের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তার শরীরে কোনো মাদক, বিষ বা চেতনানাশক উপাদান পাওয়া যায়নি। এতে ধারণা করা হচ্ছে, তার মৃত্যু সম্ভবত স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে।
পুলিশ জানায়, হুমাইরার মৃত্যুর সময় তিনি মারাত্মক আর্থিক সংকটে ছিলেন এবং দীর্ঘদিন কোনো কাজ পাচ্ছিলেন না। মোবাইল ফোন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তিনি একাধিকবার পরিচিতজনদের কাছে চাকরির অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু সাড়া পাননি। এতে মানসিকভাবে চরম হতাশায় ভুগছিলেন তিনি।
অভিযোগ উঠেছে, ফ্ল্যাটে দুর্গন্ধ ছড়ালেও যথাসময়ে তা আমলে নেওয়া হয়নি। জানা গেছে, গত নভেম্বরেই ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসিন্দারা ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধের অভিযোগ করেছিলেন। তবে বাড়ির মালিকপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে মরদেহ পড়ে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, মৃত্যুর আগে হুমাইরা কাপড় ধুচ্ছিলেন এবং বাথরুম থেকে বের হয়ে হয়তো পড়ে গিয়ে আঘাত পান, যার ফলে তার মৃত্যু ঘটে। রান্নাঘরে খাবারের কোনো চিহ্ন পাওয়া না গেলেও মোবাইলে একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপ ইনস্টল থাকলেও সেটি সচল ছিল না।
পুলিশ ও তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, রহস্যজনক পাউডারগুলোর রাসায়নিক বিশ্লেষণের ফল না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে আপাতত ঘটনাটিকে দুর্ঘটনাজনিত বা স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।