Friday, July 25, 2025

সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির গ্ল্যামারের আড়ালে অন্ধকার: দেহব্যবসায় জড়িত অভিনেত্রীদের গ্রেপ্তার

সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির ঝকঝকে দুনিয়া ও লাস্যময়ী নায়িকাদের গ্ল্যামার ও জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও কিছু অভিনেত্রী অন্ধকার জগতে পা রেখেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দেহব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এমন সাতজন অভিনেত্রীর কথা এখানে উঠে এসেছে, যারা সিনেমা ও টিভি সিরিয়ালে কাজ করলেও এই অন্ধকার পথে জড়িয়েছেন। কেউ এখনো পর্দায় সক্রিয়, আবার কেউ হারিয়ে গেছেন বিনোদন জগত থেকে।

সায়রা বানু

দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রী সায়রা বানু (বলিউডের কিংবদন্তি সায়রা বানু নন) ২০১০ সালে দেহব্যবসার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। হায়দরাবাদ পুলিশ কুন্দনবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে জ্যোতি নামে আরেক অভিনেত্রীর সঙ্গে হাতেনাতে আটক করে।

শার্লিন চোপড়া

বলিউড অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়া (প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই) পতিতাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আলোচনায় এসেছিলেন। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন, সিনেমায় কাজ না পাওয়ায় আর্থিক সংকটে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে হয়েছে তাকে।

ভুবনেশ্বরী

দক্ষিণী সিনেমা ও টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ভুবনেশ্বরী ২০০৯ সালে দেহব্যবসার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। তবে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তিনি ছাড়া পেয়ে যান।

কিন্নেরা

তেলেগু ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রী কিন্নেরা টিভি সিরিয়ালে বেশি পরিচিত ছিলেন। তবে তিনি পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নেন এবং দেহব্যবসার অভিযোগে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।

সংগীতা বালন

তামিল বিনোদন জগতের পরিচিত মুখ সংগীতা বালনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে দেহব্যবসার অভিযোগ ওঠে। চেন্নাইয়ের পানায়ুড়ের একটি রিসোর্টে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে এবং অন্য রাজ্য থেকে আসা বেশ কয়েকজন যৌনকর্মীকে উদ্ধার করে।

শ্বেতা বসু প্রসাদ

শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ ২০১৪ সালে হায়দরাবাদের একটি হোটেল থেকে দেহব্যবসার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। তবে তিনি শাস্তি ভোগ করে বর্তমানে নিয়মিত পর্দায় কাজ করছেন।

আরশি খান

বলিউড অভিনেত্রী আরশি খানের বিরুদ্ধেও দেহব্যবসার অভিযোগ উঠেছিল। তবে তিনি এই অভিযোগ সবসময় অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, তাকে হেনস্তা করা হয়েছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.