এই সাফল্য দীপিকার কাছে কেবল একটি সম্মান নয়, বরং নিজেকে আরও দায়িত্বশীল করে তোলার একটি উপলক্ষ। রোববার (২৭ জুলাই) ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগঘন পোস্টে তিনি লিখেছেন, “‘দ্য শিফট’ আমাদের ভবিষ্যত গঠনকারী ৯০ জন কণ্ঠকে সম্মান জানিয়েছে। এই সম্মান আমার কাছে গর্বের। আমি কৃতজ্ঞ।” দীপিকার কাছে সাফল্য শুধু পেশাগত অর্জন নয়। তিনি আরও লিখেছেন, “আমার কাছে সফলতা মানে শুধু কাজের স্বীকৃতি নয়। মানসিকভাবে ভালো থাকা, আত্মসচেতন থাকা। শৃঙ্খলাবোধ ও চারিত্রিক দৃঢ়তাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমি চেষ্টা করি সেই মানুষদের পাশে থাকতে, যারা ধৈর্য ও সততার মূল্য বোঝে।”
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ব্যক্তিগত সংগ্রাম থেকে শিক্ষা নিয়ে দীপিকা নিজের জায়গা গড়ে তুলেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন সমাজসচেতন কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা কথা বলার সাহস দেখিয়েছেন তিনি, যা ভারতীয় সমাজে এখনও একটি ট্যাবু। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘লিভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশন’ ভারত ও আন্তর্জাতিক পরিসরে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে। উদ্বেগ, বিষণ্নতা ও আত্মহত্যাপ্রবণতার ভুক্তভোগী হিসেবে তাঁর কণ্ঠ অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য।
গত ৩ জুলাই ‘হলিউড ওয়াক অব ফেম’-এর তালিকায়ও দীপিকার নাম উঠেছে। তিনি প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে এই মর্যাদা অর্জন করেছেন, যা তাঁর আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতাকে তুলে ধরে।
বর্তমানে দীপিকা শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘কিং’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত। এছাড়া দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুনের সঙ্গে অ্যাটলি কুমারের পরিচালনায় একটি প্যান ইন্ডিয়া প্রজেক্টে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ডিসেম্বরে শুরু হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ‘কল্কি ২’ ছবির কাজ।
দীপিকার এই অর্জন ও তাঁর সমাজসচেতন ভূমিকা তাঁকে বিশ্বব্যাপী একটি প্রভাবশালী কণ্ঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাঁর কাজ ও দৃষ্টিভঙ্গি নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।