শশী অভিযোগ করেন, প্রায়ই তাঁকে এমন চরিত্রে কাস্ট করা হয়, যা তাঁর সঙ্গে মানানসই নয়। তিনি নাট্যাঙ্গনের সহকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “অনুগ্রহ করে আমাকে ভুল বা অনুপযুক্ত কাস্টিংয়ের জন্য ডাকবেন না। আমার নাম শুনে কিংবা ছবি দেখে কাস্টিং করার আগে আমার কাজ সম্পর্কে জানা উচিত।” তিনি আরও বলেন, “একজন শিল্পীর পরিচয় তার কাজ দিয়ে নির্ধারিত হয়। দুই দশকের বেশি সময় ধরে নাটক, শর্টফিল্ম, বিজ্ঞাপন ও ডাবিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কাজ করেছি। তাই আমাকে কাস্ট করার আগে আমার কাজের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। আমি নতুন করে নায়িকা হওয়ার চেষ্টা করছি না, অনুগ্রহ করে ভুল ধারণা করবেন না।”
শশী জানান, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁকে প্রধান চরিত্রের বাইরে অন্য ভূমিকায় কাস্টিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “আমি বহুবার বলেছি, কী ধরনের চরিত্রে কাজ করতে চাই, কী ধরনের গল্পে কাজ করব এবং আমার টিম কেমন হওয়া উচিত। এই বিষয়গুলো আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পীদের বিষয়ে এসব জানা থাকলে কেউ ভুল কাস্টিংয়ের জন্য অপ্রয়োজনীয় ফোন বা মেসেজ পাঠাবে না।”
দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে শশী একটি স্বতন্ত্র অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তিনি মনে করেন, সেই সম্মান রক্ষা করা শিল্পীর দায়িত্ব। আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, “সম্মান একজন শিল্পী নিজে অর্জন করে। আমি সম্মান না পেলে আমাকে সম্মান করবেন না। কিন্তু অসম্মান করা বন্ধ করুন। এতে যাঁরা করছেন, তাঁদের অজ্ঞতা প্রকাশ পায়। যোগ্য হন, যোগ্য শিল্পীকে যোগ্য চরিত্র দিন। একজন শিল্পী ভালো কাজের অপেক্ষায় থাকে। তাই আমি যেসব চরিত্র করি, দয়া করে সে ধরনের চরিত্রেই আমাকে ডাকুন।”
শশীর এই অভিযোগ নাট্যাঙ্গনে ভুল কাস্টিংয়ের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনার সুযোগ তৈরি করেছে। তাঁর মতো অভিজ্ঞ শিল্পীদের প্রতি যথাযথ সম্মান ও উপযুক্ত চরিত্র নির্বাচনের বিষয়ে নির্মাতাদের আরও সচেতন হওয়ার প্রয়োজনীয়তা উঠে এসেছে তাঁর কথায়।