শতাধিক মানুষ মোনালিসাকে এক নজর দেখার জন্য শুটিং স্পটে ভিড় জমিয়েছেন। কেউ ছাদে উঠে দাঁড়িয়েছেন, কেউ ফোনে তাঁকে ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত। ভিড়ের উন্মাদনার মাঝে শুটিংয়ের ব্যস্ততা সামলে মোনালিসা ছাদে উঠে অনুরাগীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে বলেন, “সবাইকে দেখে খুব ভালো লাগছে।” কিন্তু এতেও ভিড়ের উত্তেজনা থামেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রযোজনা সংস্থাকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। ঘোষণা করা হয়, আজ আর দর্শন নয়; পরের দিন মোনালিসা আবার ভক্তদের সামনে আসবেন। এরপর কঠোর শুটিং সূচি অনুযায়ী কাজ পুনরায় শুরু হয়।
পিচ্চোরের শুটিং স্পটের এই দৃশ্যের ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এক সাধারণ কিশোরী থেকে বলিউডের প্রথম সারির আলোয় মোনালিসার যাত্রা যেন স্বপ্নের মতো। প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় রুদ্রাক্ষের মালা বিক্রির সময় তাঁর মুগ্ধকর হাসি এবং জ্বলজ্বলে চোখের ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপরই তাঁর সৌন্দর্য তাঁকে ‘মোনা লিসা’ নামে খ্যাতি এনে দেয়।
প্রাথমিকভাবে গুঞ্জন ছিল, মোনালিসা দক্ষিণী তারকা আল্লু অর্জুনের সিনেমায় নায়িকা হবেন। তবে সেই গুঞ্জনকে পাশ কাটিয়ে তিনি বলিউডে পা রেখেছেন পরিচালক সানোজ মিশ্রের ‘দ্য ডায়েরি অফ মণিপুর’ সিনেমার মাধ্যমে। এই সিনেমায় তিনি অভিনেতা রাজকুমার রাওয়ের ভাই অমিত রাওয়ের বিপরীতে অভিনয় করছেন। সানোজ মিশ্র মোনালিসার সরলতা ও সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে এই সুযোগ দিয়েছেন এবং ইন্দোরে অভিনয়ের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাঁর ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন।
মোনালিসার এই অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা এবং বলিউডে প্রবেশ নিয়ে নেটদুনিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা। তাঁর প্রথম সিনেমার পারিশ্রমিক নিয়েও কৌতূহলের শেষ নেই। এক সাধারণ মালা বিক্রেতা থেকে বলিউডের উঠতি তারকা হওয়ার এই গল্প অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার।