সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাতকারে উরফি বলেন, তিনি আর লিপ ফিলার্স ব্যবহার করছেন না। এর পরিবর্তে তিনি লিপ প্লাম্পার ব্যবহার করছেন। নতুন চেহারা নিয়ে তিনি বলেন, “আমাকে নিয়ে অনেক মিম হয়েছে, কটাক্ষ সহ্য করেছি। তবে সেগুলো দেখে আমিও মজা পেয়েছি। এখন দেখুন, ফিলার্সবিহীন আমার চেহারা। এবার থেকে আমাকে এভাবেই দেখবেন। তবে এখানেও লিপ প্লাম্পার ব্যবহার করেছি।”
তিনি আরও জানান, বিডিডি-তে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজের শারীরিক ত্রুটি নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করেন। তিন-চার বছর আগে তিনিও এই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। অতিরিক্ত রোগা হওয়ার বাসনায় তিনি খাওয়া-দাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। উরফি বলেন, “সারা দিনে আমার খাবার ছিল মাত্র তিন-চার টুকরো মুরগির মাংস। এর বেশি কিছুই খেতাম না। নিয়মিত দৌড়াতাম, তবে জিমে যেতাম না।”
মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি তখন বিধ্বস্ত ছিলাম। সবসময় মেজাজ খিটখিটে থাকত, রাগ হতো। কেউ আমার সঙ্গে কথা বলতে এলে মনে হতো, ‘আপনি আমার সঙ্গে কথা বলছেন কেন?’” তিনি আরও বলেন, “এখন আমি জিমে যাই, ভারোত্তোলন করি এবং ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়া করি। রোগা হওয়া নিয়ে আর ভাবি না।”
উরফির এই স্পষ্টবাদিতা ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা তার ভক্তদের মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি এখন নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তুলছেন এবং সুস্থ জীবনযাপনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।