বাঁধন জানান, ব্যক্তিগত দাম্পত্য জীবনের সহিংসতা ও বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছেন। ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজেকে নারী হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে চিনতে শিখেছেন তিনি। দ্বিতীয় বিবাহবিচ্ছেদের পর সমাজের ‘সবচেয়ে খারাপ নারী’ বলে মনে করা হয়েছিলো তাকে, যা তাঁর আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেয়। কিন্তু সেই ব্যর্থতার মধ্য দিয়েই তিনি পেয়ে গেছেন মানুষের মতো বাঁচার সাহস।
পোশাক নিয়ে বাঁধন বলেন, তিনি আর কোনো নিয়ম-কানুন মেনে চলছেন না, যা চাইবেন তাই পরবেন। এক টিভি সাক্ষাতকারে হাতাখোলা ব্লাউজ পরায় তিনি যথেষ্ট উপদেশ পেয়েছেন, কিন্তু এখন তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন বলে মনে করেন।
পোস্টের সমাপ্তিতে বাঁধন লিখেছেন, ‘আমি স্বাধীন। কী পরব, কী বলব, কী ভাবব কিংবা কীভাবে বাঁচব—সেটা একমাত্র আমার সিদ্ধান্ত। অন্য কারও নয়। এই সমাজের বিচার-বিশ্লেষণে মাঝে মাঝে গা জ্বলে যায়, মন খারাপ হয়। কিন্তু এটাই আমাদের নারীদের প্রতিদিনের বাস্তবতা।’
বাঁধনের এই পোস্ট ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমর্থন অর্জন করেছে। অনেকেই তাকে সাহসী ও অনুপ্রেরণামূলক হিসেবে প্রশংসা করেছেন।