ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগঘন ভিডিও পোস্ট করে তনুশ্রী বলেন, ‘আমি নিজের বাড়িতে হয়রানির শিকার হচ্ছি। ভয় পেয়ে পুলিশকে ডেকেছিলাম। তারা আমাকে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে বলেছে। সম্ভবত কাল বা পরশু যাব। আমি খুব অসুস্থ। গত চার-পাঁচ বছর ধরে এত হয়রানি সহ্য করেছি যে শরীর ভেঙে পড়েছে।’
ভিডিওতে তিনি আরও জানান, বাড়িতে গৃহকর্মী রাখতে পারছেন না এবং ঘর অগোছালো অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি কিছুই ঠিকমতো করতে পারছি না। ঘর একেবারে অগোছালো। গৃহকর্মী রাখতে ভয় লাগে। আগে যারা এসেছিল, তারা চুরি করত, নানা ঝামেলা করত। এখন সব কাজ নিজেকেই করতে হয়। এর মধ্যেও লোকজন দরজার বাইরে এসে বিরক্ত করে। নিজের ঘরেও আমি নিরাপদ নই।’
ইনস্টাগ্রামে পোস্টের ক্যাপশনে তনুশ্রী লিখেছেন, ‘আমি আর এই হয়রানি সহ্য করতে পারছি না! ২০১৮ সালের “হ্যাশট্যাগ মি টু” এর পর থেকেই এটা চলছে। আজ বিরক্ত হয়ে পুলিশ ডাকলাম। দয়া করে কেউ সাহায্য করুন! কিছু করুন, যেন দেরি না হয়ে যায়।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘কয়েক বছর ধরে মাঝরাতে জোরে আওয়াজ, দরজায় ধাক্কাধাক্কি চলছে। বিল্ডিং ম্যানেজমেন্টকে বারবার জানিয়েছি, কোনো কাজ হয়নি। আজ আমি খুব অসুস্থ ছিলাম, তবু সারা দিন এই শব্দ চলছিল। অচেনা লোকজন এসে দরজার ঘণ্টা বাজায়, যদিও আমি “ডিস্টার্ব করবেন না” লিখে রেখেছি।’
২০১৮ সালে তনুশ্রী অভিযোগ করেছিলেন, ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ সিনেমার একটি আইটেম গানের শুটিংয়ের সময় নানা পাটেকর, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য ও পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী তাঁর সঙ্গে অন্যায় আচরণ করেছিলেন। তিনি সিনে অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (সিনটা) কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, কিন্তু তখন কেউ তাঁর পাশে দাঁড়াননি। নানা পাটেকর এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
২০১৯ সালে মুম্বাই পুলিশ নানা পাটেকরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। ওশিওয়ারা থানার তদন্তকারীদের রিপোর্টে বলা হয়, তনুশ্রীর অভিযোগ ‘বৈরিতা’ ও ‘প্রতিশোধপরায়ণতা’ থেকে উঠে এসেছে। ২০২৫ সালের মার্চে মুম্বাইয়ের একটি আদালত তনুশ্রীর প্রতিবাদ পিটিশন খারিজ করে, কারণ ২০০৮ সালের ঘটনার জন্য সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে গেছে এবং ২০১৮ সালের অভিযোগের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তনুশ্রী দত্ত ‘আশিক বানায়া আপনে’, ‘ঢোল’ ও ‘ভাগম ভাগ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পরিচিত। ২০০৪ সালে তিনি ‘ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স’ খেতাব জিতেছিলেন।