গত বছর পবিত্র ঈদুল আজহার সময় মুক্তি পাওয়া রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তুফান’ সিনেমার এই গানটি ২০ জুন, ২০২৪-এ অফিশিয়ালি দুটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ঢাকার দিলশাদ নাহার কনা ও কলকাতার আকাশ সেন। গানের গীতিকার ও সুরকারও আকাশ সেন। গানটির দৃশ্যায়নে দেখা যায়, একটি পানশালায় মিমি চক্রবর্তী এই গানে পারফর্ম করছেন, আর তাঁকে দেখে প্রেমে পড়ে যান নায়ক শাকিব খান।
৫০ কোটি ভিউয়ের মাইলফলক অর্জনে উচ্ছ্বসিত আকাশ সেন। কলকাতা থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, “এত কম সময়ে এত মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যেকোনো সংগীতশিল্পীর জন্য বিরাট পাওয়া। আমি একদিন থাকব না, কিন্তু এই গান থাকবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং ব্যাংককের পার্টিতেও এই গান বাজছে। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে!”
গানটির সৃষ্টির পেছনের গল্প শেয়ার করে আকাশ বলেন, “আমার বাড়ির পাশে একটি আমগাছ আছে। বসন্তে সেখানে কোকিল সারা দিন ডাকাডাকি করে। এক কোকিল আরেক কোকিলকে মুগ্ধ করতে এভাবে ডাকে। এই মজা থেকেই ‘দুষ্টু কোকিল’ গানের জন্ম।” তিনি জানান, গানটি মূলত অন্য একটি সিনেমার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সিনেমার প্রযোজকের পছন্দ না হওয়ায় গানটি নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। পরে গায়িকা কনা গানটি রায়হান রাফীকে শোনান, এবং পরিচালক এটি ‘তুফান’ সিনেমার জন্য পছন্দ করেন।
এই অর্জনের পুরো কৃতিত্ব দর্শকদের দিয়েছেন আকাশ সেন। তিনি বলেন, “শ্রোতারাই সবকিছু। আমি যখন প্রথম গান বানিয়েছিলাম, তখনও মনে হয়েছিল, লাখো শ্রোতার সামনে গানটি শোনাচ্ছি। তাঁদের আবেগ আর পছন্দই আমার মাথায় কাজ করে। এই গানের মাধ্যমে এত মানুষের কাছে পৌঁছানো আমার কাছে বড় আনন্দ।”
গানটির দৃশ্যধারণ হয় কলকাতায়। শুটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আকাশ সেন। তিনি বলেন, “রায়হান রাফী শুটিংয়ের দুই দিন আগে আমাকে নিমন্ত্রণ করেন। সেখানে গিয়ে শাকিব খান ভাইকে মেসেজ করি। তিনি আমাকে এত ভালোবাসা ও আদর দিয়েছেন, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এই স্মৃতি আমার সারা জীবন মনে থাকবে।”
গানটির জনপ্রিয়তায় উচ্ছ্বসিত গায়িকা কনাও। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, “অনেক আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। এই গান বাংলা সিনেমার গানে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সব শ্রোতার প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা। এই কৃতিত্ব পুরোপুরি আপনাদের।”