তিনি আরও লিখেছেন, ‘ভেবেছিলাম ভালো হয়ে যাবে সে। কিন্তু কুত্তার লেজ তো কখনো সোজা হয় না। এই কথাটাই আবারও প্রমাণ করলি তুই। আল্লাহ, তুমি এর বিচার অবশ্যই করো।’
এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় আদিবাসী মিজান ফেসবুকে পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন, তিনি মানসীকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ওকে, আমি তোমাকে ডিভোর্স দেব। অনেক বেড়ে গেছ। তুমি একটা মিথ্যুক।’
এর জবাবে মানসী আরেকটি পোস্টে বলেন, ‘আমি মেনে নিলাম আমি খারাপ। একটা বে**ও দিনশেষে একটা ভালো সংসার, ভালো স্বামী পেলে ভালো হয়ে যায়। আমি দিনশেষে সম্মান নিয়ে শান্তিমতো সংসারটা করতে চাইছিলাম। আমার মন বা শরীরের অবস্থা কোনোটাই ভালো না। আমার বা আমার বাবুর যদি কিছু হয়, তার পুরো দায়ভার আমি আদিবাসী মিজান আমার হাসব্যান্ডকে দিয়ে যাচ্ছি। আল্লাহর কাছে আর আপনাদের কাছে বিচারের ভার দিয়ে যাচ্ছি। ও যেন ক্ষমা না পায়।’
এই দাম্পত্য কলহ নাট্যাঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অভিনেতা রওনক হাসান ফেসবুকে একটি পোস্টে পরোক্ষভাবে মানসী ও মিজানকে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘দোহাই লাগে তোমাদের কাছে, সংসারে সমস্যা থাকবেই। সমস্যাহীন মানুষ হয় না। পারিবারিক বিষয় পারিবারিক বা বন্ধুদের মাধ্যমে সমাধান করো। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নাও। বাজারে না। ফেসবুক একটা বাজার। দোহাই লাগে, কামনা করি তোমাদের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গত, মানসী প্রকৃতি ‘বেক্কল বউ’, ‘দুই বউ বয়রা’, ‘বেক্কল না সোজা’সহ বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। অন্যদিকে, আদিবাসী মিজান ‘বেক্কলের মেলা’ ধারাবাহিক নাটকসহ বেশ কিছু প্রকল্পের নির্মাতা হিসেবে পরিচিত। তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের টানাপড়েন বেশ কিছুদিন ধরে গুঞ্জনের জন্ম দিচ্ছিল, যা এখন সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসে নাট্যাঙ্গন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র আলোচনার সৃষ্টি করেছে।