সর্বশেষ

Saturday, September 13, 2025

‘আবির গুলাল’ নিয়ে উত্তেজনা: ভারতে মুক্তির পথে ফাওয়াদ-বানীর সিনেমা

‘আবির গুলাল’ নিয়ে উত্তেজনা: ভারতে মুক্তির পথে ফাওয়াদ-বানীর সিনেমা

পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান এবং ভারতীয় অভিনেত্রী বানী কাপুর অভিনীত নতুন সিনেমা ‘আবির গুলাল’ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে টানাপোড়েনের প্রভাব পড়ে এই সিনেমার মুক্তির ওপর। তবে সাম্প্রতিক খবরে জানা গেছে, চলতি মাসের ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে পারে এই প্রতীক্ষিত সিনেমা।

মূলত চলতি বছরের ৯ মে ‘আবির গুলাল’ মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারত সরকার এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করে। এই ঘটনার পর থেকে ভারতে পাকিস্তানি শিল্পীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রভাবে সিনেমাটির মুক্তি বিলম্বিত হয়। এমনকি ছবিটি যাতে ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি না পায়, সে দাবিতে সরব হয় একাধিক সংগঠন। এ ছাড়া পাকিস্তানি অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার জন্য নায়িকা বানী কাপুরকেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

পরিস্থিতির জটিলতায় নির্মাতারা সিদ্ধান্ত নেন, আপাতত ছবিটি শুধু আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাবে। গত ১২ সেপ্টেম্বর ‘আবির গুলাল’ আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এবং দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এবার খবর এসেছে, নিষিদ্ধ এই ছবিটি ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পথে। সম্ভাব্য মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ সেপ্টেম্বর, যদিও নির্মাতাদের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

সিনেমা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ‘আবির গুলাল’ একটি সাধারণ প্রেমের গল্প, যা বিশ্বজুড়ে সব দর্শকের মনে আবেদন তৈরি করবে। এ ছাড়া ওই তারিখে অন্য কোনো বড় ছবি মুক্তি না পাওয়ায় এটি প্রেক্ষাগৃহে এককভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করবে বলে আশাবাদী নির্মাতারা।

বিদ্যা বালানের বাংলাপ্রীতি: পর্দা থেকে বাস্তব জীবনে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া

বিদ্যা বালানের বাংলাপ্রীতি: পর্দা থেকে বাস্তব জীবনে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া

 বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালান পর্দার চরিত্র থেকে বাস্তব জীবন—সবখানেই যেন বাঙালি নারীর এক অনন্য ছাপ রেখেছেন। তার ক্যারিয়ারের প্রথম ব্রেক এসেছিল গৌতম হালদারের বাংলা চলচ্চিত্র ‘ভালো থেকো’ দিয়ে। এরপর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পরিণীতা’ তাকে পৌঁছে দেয় বলিউডের শীর্ষে। সুজয় ঘোষের ‘কাহানি’ ছবিতে প্রকৃত বাঙালি নারীর চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেন তিনি। সম্প্রতি এক খোলামেলা সাক্ষাৎকারে বিদ্যা তার বাংলাপ্রীতি এবং বাঙালিয়ানার সঙ্গে গভীর বন্ধনের কথা তুলে ধরেছেন।

বিদ্যার সঙ্গে বাংলার এই নিবিড় যোগ শুধু পর্দায় সীমাবদ্ধ নয়, তার ব্যক্তিগত জীবনেও এটি স্পষ্ট। তিনি বাংলা ভাষা জানেন এবং বাংলার সংস্কৃতিকে নিজের মতো করে গ্রহণ করেছেন। প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ একসময় তার এই বাংলাপ্রীতির প্রশংসা প্রকাশ্যে করেছিলেন। নিজের টকশো ‘ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি’তে বিদ্যাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ঋতুপর্ণ বলেছিলেন, “ইংরেজি হরফে একটি লেখা নির্ভুলভাবে বাংলায় লিখে বিদ্যা আমাকে মেসেজ করেছিল। আমি সেই মেসেজ সকলকে দেখিয়েছিলাম।”

ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তার ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে বিদ্যা বলেন, “আমার ধারণা, আগের জন্মে আমি বাংলার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। হয়তো আমি বাঙালিই ছিলাম। তাই এই জন্মেও বাঙালিয়ানা আমার পিছু ছাড়েনি। বরং আমাকে বারবার ফিরিয়ে এনেছে এই বাংলায়। আমি বাঙালি হতে খুব ভালোবাসি।”

বিদ্যার এই আন্তরিক বক্তব্য তার ভক্তদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তার এই গভীর ভালোবাসা তাকে পর্দা এবং বাস্তব জীবনে এক অনন্য বাঙালি রূপে উপস্থাপন করেছে।

চীনা অভিনেতা ইউ মেংলংয়ের মৃত্যু, বেইজিংয়ে ভবন থেকে পড়ে প্রাণ হারান

চীনা অভিনেতা ইউ মেংলংয়ের মৃত্যু, বেইজিংয়ে ভবন থেকে পড়ে প্রাণ হারান

 চীনের জনপ্রিয় গায়ক, অভিনেতা ও মডেল ইউ মেংলং আর নেই। মাত্র ৩৭ বছর বয়সে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেইজিংয়ের একটি ভবন থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন এই তারকা। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, ইউ মেংলংয়ের ব্যবস্থাপনা দল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশের তদন্তে এই ঘটনায় কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, “অসহনীয় বেদনা নিয়ে জানাচ্ছি, আমাদের প্রিয় মেংলং ১১ সেপ্টেম্বর ভবন থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। পুলিশ কোনো অপরাধের প্রমাণ পায়নি। আমরা চাই তিনি শান্তিতে থাকুন এবং তার প্রিয়জনরা শক্ত থাকুন।”

এর আগে একজন পাপারাজ্জি সামাজিক মাধ্যমে ইউ মেংলংয়ের মৃত্যুর খবর শেয়ার করেছিলেন, যা পরে মুছে ফেলা হয়। পোস্টে উল্লেখ ছিল, ৯ সেপ্টেম্বর ইউ মেংলং ৫-৬ জন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে এক বন্ধুর বাড়িতে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। ১১ সেপ্টেম্বর ভোর ২টার দিকে তিনি শোবার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করেন। সকাল ৬টার দিকে বন্ধুরা তাকে না পেয়ে খুঁজতে গেলে ভবনের নিচে তার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। একজন প্রতিবেশী কুকুর হাঁটাতে বের হয়ে প্রথমে বিষয়টি লক্ষ্য করেন এবং পুলিশে খবর দেন।

ইউ মেংলং ২০০৭ সালে ‘মাই শো, মাই স্টাইল’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন জগতে প্রবেশ করেন। ২০১১ সালে ‘দ্য লিটল প্রিন্স’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। তিনি ‘গো প্রিন্সেস গো’, ‘ইটারনাল লাভ’, ‘লাভ গেম ইন ইস্টার্ন ফ্যান্টাসি’ এবং ‘ফিউড’-এর মতো জনপ্রিয় চীনা ধারাবাহিকে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। এছাড়া গায়ক হিসেবে বেশ কিছু গানও প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

ইউ মেংলংয়ের অকাল মৃত্যুতে চীনা বিনোদন জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ভক্ত ও সহকর্মীরা সামাজিক মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।

সামান্থা রুথ প্রভু: বিচ্ছেদ, ভরণপোষণ প্রত্যাখ্যান ও জীবনের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে মুখ খুললেন

সামান্থা রুথ প্রভু: বিচ্ছেদ, ভরণপোষণ প্রত্যাখ্যান ও জীবনের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে মুখ খুললেন

 দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু তার ব্যক্তিগত জীবনের চ্যালেঞ্জ, বিচ্ছেদের পর মানসিক ও শারীরিক অবস্থা এবং ক্যারিয়ারের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে মুখ খুলেছেন। অভিনেতা নাগা চৈতন্যের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ এখন পুরোনো খবর। নাগা চৈতন্য বর্তমানে অভিনেত্রী শোভিতা ধূলিপালার সঙ্গে বিবাহিত জীবন কাটাচ্ছেন, অন্যদিকে সামান্থা পরিচালক রাজ নিদিমোরুর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়েছে যে, বিচ্ছেদের পর আক্কিনেনি পরিবার সামান্থাকে মোটা অঙ্কের ভরণপোষণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু বিচ্ছেদের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া সামান্থা শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি নাগা চৈতন্যের সাহচর্য চেয়েছিলেন, কিন্তু তা না পাওয়ায় ভরণপোষণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন বলে জানা গেছে।

এক সাক্ষাৎকারে সামান্থা তার ক্যারিয়ার ও জীবনের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, “আমি ভাবতাম বড় তারকা হতে গেলে বছরে পাঁচটা সিনেমা করতে হবে। বাণিজ্যিকভাবে সফল সিনেমা দর্শকদের উপহার দিতে হবে। বড় তারকাদের তালিকায় নিজেকে রাখতে হবে। প্রতি শুক্রবারের সাফল্যের ওপর নির্ভর করত আমার জীবন। প্রতিমুহূর্তে ভয় পেতাম। যে কোনো সময় আমার জায়গা হয়তো অন্য কেউ নিয়ে নেবে।”

তবে ব্যক্তিগত জীবনের কঠিন সময় তাকে শান্ত ও পরিণত করেছে। তিনি বলেন, “গত দুই বছর ধরে আমার কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। বড় কোনো সিনেমা নেই। কিন্তু আমি ভীষণ আনন্দে আছি।” সামান্থার এই কথাগুলো তার জীবনের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিক শান্তির প্রতিফলন।

অভিনেত্রীর এই মন্তব্য ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে তার সাহস ও সততার প্রশংসা করছেন, আবার কেউ কেউ তার জীবনের নতুন অধ্যায়ের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।

Friday, September 12, 2025

মানুষের প্রতি আস্থা হারাচ্ছি, ভালোবাসা ও মানবিকতা হারিয়ে গেছে: সামিরা খান মাহি

মানুষের প্রতি আস্থা হারাচ্ছি, ভালোবাসা ও মানবিকতা হারিয়ে গেছে: সামিরা খান মাহি

 ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি সমাজে মানুষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হিংসা, নেতিবাচকতা এবং সহমর্মিতার অভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, সময় মানুষকে একেবারে ভিন্ন রূপে বদলে দিয়েছে, যেখানে ভালোবাসা ও মানবিকতার জায়গায় জায়গা করে নিয়েছে প্রতিযোগিতা ও বিচারের মনোভাব।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাসে মাহি এই অনুভূতি প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, “আজকাল ২৪ ঘণ্টা ভয়ে থাকি। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের না, কোনো সমস্যার না; সবচেয়ে বেশি ভয় মানুষের। সময় যেন মানুষকে একেবারেই অন্য রকম করে দিয়েছে। এখন চারপাশে শুধু প্রতিযোগিতা, হিংসা, নেতিবাচকতা। একে অপরকে বুঝতে শেখার পরিবর্তে মানুষ এখন শুধু দোষ ধরতে শেখে। ভালো কিছু বললে বা করলে সেটার প্রশংসা না হয়ে উলটো সমালোচনা আসে।”

মাহি আরও লেখেন, “আমরা এমন এক সমাজে বাস করছি, যেখানে মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করতে চায় না, বরং কারো সুখ দেখলেই কষ্ট পায়। সহমর্মিতা হারিয়ে গেছে, জায়গা নিয়েছে বিচার আর হিংসা। আগে যেখানে প্রতিবেশী মানেই পরিবার, এখন সেখানে অপরিচিতের মতো দূরত্ব। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হলো আজ মানুষ মানুষকেই ভয় পায়।”

তিনি শেষে প্রশ্ন তুলে বলেন, “আমরা নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে ভয় পাই, কারণ জানি শোনার বদলে কটুকথাই ফিরবে। এই কি সেই সমাজ, যে সমাজের জন্য আমরা এত সংগ্রাম করি? কোথায় হারিয়ে গেল মানুষের সরলতা, ভালোবাসা আর মানবিকতা?”

মাহির এই পোস্টে তার ভক্তদের একাংশ গভীরভাবে একমত পোষণ করলেও কেউ কেউ এটিকে গুরুত্ব না দিয়ে হাসির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, “কথাগুলো একদম সত্য। কিন্তু এর মধ্যে আবার অনেকে হা হা রিয়েক্ট দেয়।” এর জবাবে মাহি লেখেন, “কারণ ওদের জীবনটাই একটা হাহা।”

এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মাহির কথার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করলেও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

দিশা পাটানির বাড়িতে গুলি, গোল্ডি ব্রার ও রোহিত গোদারার দায় স্বীকার

দিশা পাটানির বাড়িতে গুলি, গোল্ডি ব্রার ও রোহিত গোদারার দায় স্বীকার

গত বছর বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়িতে গুলির ঘটনার পর এবার গুলি চলল অভিনেত্রী দিশা পাটানির বাসভবনে। শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে উত্তর প্রদেশের বরেলিতে অবস্থিত দিশার বাড়ির বাইরে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার ও রোহিত গোদারা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, স্থানীয় ধর্মগুরু প্রেমানন্দের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের অভিযোগে এই হামলা চালানো হয়েছে। বরেলির সিভিল লাইনস এলাকায় ৪০ নম্বর ভিলায় পাটানি পরিবারের বাসস্থান। শুক্রবার সেখানেই এই ঘটনা ঘটে।

গোল্ডি ব্রার ও রোহিত গোদারার গ্যাং ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। পোস্টে লেখা হয়েছে, “আমি, বীরেন্দ্র চরণ এবং মহেন্দ্র শরণ (দেলানা), আজ খুশবু পাটানি ও বলিউড অভিনেত্রী দিশা পাটানির বাড়িতে যে গুলি চালানো হয়েছিল, তার দায় স্বীকার করছি। তিনি আমাদের শ্রদ্ধেয় সাধুদের (প্রেমানন্দ এবং অনিরুদ্ধাচার্য) অপমান করেছেন। তিনি আমাদের সনাতন ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন। আমাদের পূজিত দেবদেবীদের অপমান বরদাস্ত করা হবে না। এটি কেবল একটি ট্রেলার ছিল। পরের বার যদি তিনি বা অন্য কেউ আমাদের ধর্মের প্রতি কোনো অশ্লীল আচরণ দেখান, তাহলে আমরা কাউকে তাদের বাড়িতে জীবিত রেখে যাব না। এই বার্তা শুধু তার জন্য নয়, চলচ্চিত্র জগতের সব শিল্পী এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য। আমাদের ধর্ম রক্ষায় যদি যেকোনো পর্যায়ে যেতে হয়, আমরা তার জন্য প্রস্তুত।”

এদিকে, দিশা পাটানি এবং তার বড় বোন খুশবু পাটানি এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি। জানা গেছে, খুশবু পাটানি, যিনি একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সমাজমাধ্যমে বেশ সক্রিয়। তিনি আধ্যাত্মিক নেতা অনিরুদ্ধাচার্যের একটি মন্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন।

এক ধর্মসভায় অনিরুদ্ধাচার্য বলেছিলেন, “আজকালকার পুরুষেরা ২৫ বছরের আশপাশের নারীদের সঙ্গী হিসেবে খুঁজে নেন। কিন্তু এই বয়সি নারীরা ততদিনে চার-পাঁচ জনের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেন।” এই মন্তব্যের জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে খুশবু প্রেমানন্দকে ‘দেশদ্রোহী’ ও ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “এই লোকটা আমার সামনে থাকলে, আমি ওকে ভালো করে বুঝিয়ে দিতাম। এরা দেশদ্রোহী। এদের সমর্থন করা উচিত নয়।”

গুলির ঘটনার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। দিশা পাটানির পরিবারের সুরক্ষার জন্য তাদের বাড়ির সামনে একদল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

Thursday, September 11, 2025

মাদককাণ্ডে অভিযোগ: দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে মুখ খুললেন সাফা কবির

মাদককাণ্ডে অভিযোগ: দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে মুখ খুললেন সাফা কবির

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাফা কবির দীর্ঘ আট মাস নীরবতা ভেঙে মাদককাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে কথা বলেছেন। গত বছরের শেষ দিকে তিন জনপ্রিয় অভিনেত্রী—তানজিন তিশা, মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া ও সাফা কবির—এবং সংগীতশিল্পী সুনিধি নায়েকের বিরুদ্ধে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে নিয়মিত মাদক সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।

সেই সময় পুরো বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিলেন সাফা কবির। তিনি সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে সর্বত্র আড়ালে চলে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি রুম্মান রশীদ খানের ‘বিহাইন্ড দ্য ফ্রেম’ পডকাস্টে অংশ নিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো এই অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেন এবং জানান, এই ধরনের খবর প্রকাশের ফলে তার কর্মজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল।

পডকাস্টে সাফা কবির বলেন, “নিউজটি দেখার পর পুরোপুরি শকড হয়েছিলাম। কী হচ্ছে এটা, এমনটাই শুধু ভাবছিলাম। এটা কেমন নিউজ। এরপর আর কোনো আপডেট কেউ দিতে পারল না। কিন্তু এমন খবর প্রকাশের পর আমার ক্ষতি হয়ে গেল। মিডিয়ার তিন–চারটা মেয়েকে নিয়ে যে নিউজটা করল, তারা একটিবার চিন্তা করল না যে, এ মেয়েগুলোর জীবনের ভবিষ্যৎ কী হবে?”

এই খবর প্রচারের পর সাফা একের পর এক কাজ হারাতে থাকেন। সেই সময়ের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার খবরটি প্রকাশ করা হয়। রোববার একটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে আমার চুক্তি করার কথা ছিল। কিন্তু এমন খবরের পর তারা সেটি বাতিল করে দেয়। আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে, এটা শুধু একটা নিউজ। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু তাদের কাছে এটা কীভাবে প্রমাণ করব? আমার কাছে প্রমাণ করার কিছুই ছিল না।”

তিনি আরও বলেন, “আমার সিনিয়র শিল্পীরা আমার সঙ্গে কাজ বাতিল করে দিচ্ছিল। বিতর্ক এড়াতে আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইছিল না কেউ। আমিও বুঝতে পারছিলাম সামাজিক মাধ্যমে এটা নিয়ে ঝড় চলছে।”

এই কঠিন সময়ে সাফার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শোবিজের কয়েকজন বন্ধু। তিনি বলেন, “সেই সময় আমার শোবিজের বন্ধুরা পাশে দাঁড়িয়েছিল। বিশেষ করে তৌসিফ মাহবুব তখন বলেছিল— আমি সাফার সঙ্গে কাজ করব। এ ছাড়া জোভান অনেক সহযোগিতা করেছে। সিয়ামও সেই সময় মানসিকভাবে পাশে ছিল। আমার এ বন্ধুরা অনেক সুন্দর। এখানে কাজ করে এত ভালো বন্ধু আমি পেয়েছি। অনেকেই বলেন— মিডিয়ার মানুষেরা বন্ধু হয় না, আমি এর সঙ্গে কানেক্ট করতে পারি না।”

সাফা কবির আরও জানান, “না জেনে সামাজিক মাধ্যমে কোনো তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া যেমন উচিত নয়, ঠিক তেমনি প্রমাণ ছাড়া কাউকে অপরাধী ধরে নেওয়াও অন্যায়। আমরা হুজুগে অনেক কিছু করে ফেলি। কিন্তু চিন্তা করি না— এ ধরনের কর্মকাণ্ড মানুষের জীবন বা সমাজে কী প্রভাব ফেলবে। আমাদের একটা পরিবার আছে, ওয়ার্ক লাইফ আছে— এগুলো কি কেউ চিন্তা করে?”

তিনি আরও বলেন, “এমনিতেই মিডিয়াকে মানুষ ভালো চোখে দেখে না। এ ধরনের খবরের কারণে মা-বাবার মনে ধারণা জন্মাল— তাদের সন্তানরা এখানে সুরক্ষিত না। তাদের এখানে কাজ করতে দেওয়া যাবে না। আমার মনে হয়, যে কোনো কিছু করার আগে দুবার ভাবা দরকার।”