সর্বশেষ

Sunday, August 17, 2025

‘পরম সুন্দরী’ সিনেমার ট্রেলার নিয়ে বিতর্ক: জাহ্নবী কাপুরের চরিত্র নিয়ে কেরালার দর্শকদের ক্ষোভ

‘পরম সুন্দরী’ সিনেমার ট্রেলার নিয়ে বিতর্ক: জাহ্নবী কাপুরের চরিত্র নিয়ে কেরালার দর্শকদের ক্ষোভ

 বলিউড অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর অভিনীত সিনেমা ‘পরম সুন্দরী’র ট্রেলার সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। এই সিনেমায় জাহ্নবীর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। ট্রেলারটি দর্শকদের একাংশের প্রশংসা কুড়ালেও কেরালার শিল্পী ও দর্শকদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।

কেরালার অনেক দর্শক ও শিল্পীর অভিযোগ, সিনেমায় জাহ্নবী কাপুরের মালায়ালি মেয়ের চরিত্রটি অতিরঞ্জিত এবং অত্যধিক স্টেরিওটাইপিক্যালভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মালায়ালি অভিনেত্রী ও গায়িকা পবিত্রা মেনন সামাজিক মাধ্যমে এই ট্রেলার শেয়ার করে নির্মাতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার পোস্টের সঙ্গে একই সুরে সমালোচনা করেছেন অনেক নেটিজেন।

ট্রেলারটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা মন্তব্য করেছেন যে, জাহ্নবীর চরিত্রের লম্বা নাম এবং সাজসজ্জা অবাস্তব মনে হয়েছে। একজন নেটিজেন লিখেছেন, “কেরালার সবার লম্বা নাম হয় না। বরং এই চরিত্রটিকে চেন্নাইয়ের কোনো চরিত্র হিসেবে দেখালে বেশি মানানসই হতো।”

এ ছাড়া, ট্রেলারের কমেন্ট সেকশনে মালায়ালি নেটিজেনদের একটি বড় অংশ জাহ্নবীর উচ্চারণ এবং অভিনয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন। একজন নেটিজেন লিখেছেন, “হিন্দিতে বলা সব বুঝলাম, কিন্তু একটাও মালায়ালম শব্দ বুঝতে পারলাম না। এই ভুয়া সাউথ ইন্ডিয়ান অ্যাকসেন্ট একেবারেই মানা যায় না।”

‘পরম সুন্দরী’ সিনেমার ট্রেলার নিয়ে এই বিতর্ক ক্রমশ সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠছে। নির্মাতারা এই সমালোচনার জবাবে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।

দশ বছর পর ‘ধূমকেতু’ সিনেমা নিয়ে আলোচনায় দেব-শুভশ্রী জুটি

দশ বছর পর ‘ধূমকেতু’ সিনেমা নিয়ে আলোচনায় দেব-শুভশ্রী জুটি

 টলিপাড়ার জনপ্রিয় তারকা জুটি দেব ও শুভশ্রী গাঙ্গুলী একসময় তাদের সম্পর্ক নিয়ে বেশ আলোচনায় ছিলেন। তাদের প্রেমের খবর ছিল সবার কাছে ‘ওপেন সিক্রেট’, যদিও তারা কখনো প্রকাশ্যে তা স্বীকার করেননি। দশ বছর পর ‘ধূমকেতু’ সিনেমা নিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছেন তারা।

২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘চ্যালেঞ্জ’ সিনেমার মাধ্যমে দেব ও শুভশ্রীর প্রেমের সূত্রপাত হয়। এই ছবির পর থেকে তাদের সম্পর্ক শুরু হয়। পর্দায় এই জুটি দর্শকদের মনে দারুণ জায়গা করে নেয়। তবে সম্পর্কে থাকাকালীন তারা নিজেদের শুধুই ‘ভালো বন্ধু’ হিসেবে পরিচয় দিতেন।

এরপর ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘খোকাবাবু’, ‘রোমিও’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করে রুপালি পর্দায় ব্যাপক সাড়া ফেলেন দেব ও শুভশ্রী। তাদের রসায়ন দর্শকদের মন কাড়ে এবং এই সম্পর্ক পর্দার বাইরে বিয়ের সম্ভাবনা পর্যন্ত গড়ায়। তবে তাদের সম্পর্ক ভাঙার খবর অনেককেই অবাক করে।

জানা যায়, তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে রুক্মিণী মৈত্রের আগমনের কারণে। সেই সময় রুক্মিণী অভিনয় জগতে না থাকলেও মডেলিং করতেন। দেবের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ক্রমশ গভীর হতে থাকে, যার খবর শুভশ্রীর কাছে পৌঁছায়। এরপর থেকে দেব-শুভশ্রীর সম্পর্কে ভাঙন শুরু হয়।

অন্য একটি সূত্র জানায়, শুভশ্রী তাদের সম্পর্ককে বিয়ের পর্যায়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থাকায় দেব তখন বিয়ে করতে প্রস্তুত ছিলেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া ও অশান্তি শুরু হয়, যা শেষ পর্যন্ত সম্পর্ক ভাঙনের দিকে নিয়ে যায়।

ব্রেকআপের পর শুভশ্রী বড়পর্দা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’ সিনেমার পর তাকে আর দেখা যায়নি। চার বছর পর তিনি আবার কামব্যাক করেন। বর্তমানে শুভশ্রী রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে বিবাহিত জীবন কাটাচ্ছেন এবং তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। অতীত নিয়ে তার আর কোনো আক্ষেপ নেই।

অন্যদিকে, দেব রুক্মিণী মৈত্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। তবে তাদের বিয়ের বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য প্রকাশিত হয়নি।

পরীমনি ক্ষুব্ধ: সন্তানের জন্মদিনের ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কন্টেন্ট ব্যবসা

পরীমনি ক্ষুব্ধ: সন্তানের জন্মদিনের ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কন্টেন্ট ব্যবসা

 ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবসময়ই আলোচনায় থাকেন। এবার তার সন্তানের জন্মদিন উদযাপনের ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

পরীমনি পূর্বে জানিয়েছিলেন, সন্তান জন্মের পর তিনি নিজের জন্মদিন আর ধুমধাম করে পালন করবেন না। বরং সন্তানের জন্মদিনটি ভালোভাবে উদযাপন করবেন। সেই কথামতো গত ১০ আগস্ট তিনি তার ছেলের তৃতীয় জন্মদিন নিজের মতো করে উৎসবমুখরভাবে পালন করেন। কিন্তু এই অনুষ্ঠান নিয়ে তিনি বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

জন্মদিনের ছয় দিন পর পরীমনি লক্ষ্য করেন, তার ব্যক্তিগত এই অনুষ্ঠানের ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অতিথিদের মধ্যে কেউ কেউ এই অনুষ্ঠানের ভিডিও ব্যবহার করে রিলস ও ব্যবসায়িক কন্টেন্ট তৈরি করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার ফেসবুকে পরীমনি লেখেন, “আমার সব রকম আনন্দে যাদের আমি কাছে চাইছি কিন্তু তারা প্রত্যেকেই প্রমাণ করছে তারা আমার জীবনে মলমুত্র মাত্র। খেয়াল করে দেখবেন, গত ১০ তারিখ থেকে ব্যক্তিগত কারণে আমি ফেসবুকে অ্যাকটিভ নই। আজ ফেসবুকে ঢুকতেই দেখি আমার জীবনের আনন্দ নিয়ে টানাটানি করা শুরু করেছে। আমার বাচ্চাদের নিয়ে ১০ তারিখ একটা ইভেন্ট ছিল- আমার একান্ত নিজস্ব কাছের মানুষদের নিয়ে যেটা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কিছু উল্লুক বেহায়ার মতো আমার ইভেন্টে এসে রিলস আর ব্যবসায়িক ব্লগে সামাজিক মাধ্যম ভরে ফেলছে! যেখানে আমি এখন পর্যন্ত একটা ছবিও পোস্ট করিনি। এমনকি আমার পরিবারের এবং সত্যি যাদের কাছে পরিবারের মানুষের গুরুত্ব আছে তারা কিন্তু কেউ এরকম করে নাই।”

এর আগে গত মাসে পরীমনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তার সন্তানরা কোনো ব্যবসায়িক উপাদান নয় এবং তাদের নিয়ে কন্টেন্ট ব্যবসা বন্ধ করতে বলেছিলেন। কিন্তু তার ব্যক্তিগত এই অনুষ্ঠানে তিনি তা ঠেকাতে পারেননি।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও লেখেন, “যারা অনুষ্ঠানে এসে মানুষের জীবনের অতি মূল্যবান সময়টা পাবলিক করে তারা আমার গালি খাবা, যা তোমরা ডিজার্ভ করো- তোমরা ভিখারির মতো মাসভরে কিছু ডলার কামাও। এ ধরনের মানুষ বা কনটেন্ট ক্রিয়েটর যদি সামনে পড়ে তাহলে তিন মিনিট থাপড়িয়ে দেব। কারণ আগেই বলেছিলাম আমার বাচ্চারা কোনো ব্যবসায়িক উপাদান না। ভালো লাগেনি তখন?”

নুসরাত জাহানের জন্মাষ্টমী উদযাপন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের ঝড়, তবু অটল সম্প্রীতির বার্তা

নুসরাত জাহানের জন্মাষ্টমী উদযাপন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের ঝড়, তবু অটল সম্প্রীতির বার্তা

 টালিউডের বিতর্কিত অভিনেত্রী নুসরাত জাহান আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার। জন্মাষ্টমীর দিন বাড়িতে শ্রীকৃষ্ণ আরাধনার ছবি পোস্ট করায় তাকে নিশানা করেছে একাংশ। মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও হিন্দু উৎসবে অংশ নেওয়ার জন্য তাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। কেউ তাকে “মুসলিম জাতির কলঙ্ক” বলেছেন, আবার কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, “ঈদে তো এত ঘটা করে দেখি না আপনাকে।”

নুসরাত ছাইরঙা শাড়িতে পূজার ঘরে শ্রীকৃষ্ণের আরাধনার ছবি পোস্ট করেছিলেন। লাল কাপড়ে সাজানো কৃষ্ণমূর্তি, পাশে দোলনা, সামনে ভোগের থালা—এর মাঝে শান্ত মুখে দাঁড়ানো নুসরাতের ছবি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। কিন্তু সেই ছবির নিচে ভেসে ওঠে কুরুচিকর মন্তব্য।

তবে বিতর্ক নুসরাতের কাছে নতুন নয়। এর আগেও সিঁদুর খেলা বা দশমীতে সিঁথিতে সিঁদুর পরা নিয়ে তিনি কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন। কিন্তু প্রতিবারই নিজের নির্লিপ্ততা ও সব ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধার বার্তা দিয়ে এগিয়ে গেছেন তিনি। এবারের জন্মাষ্টমীতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। একদিকে নিন্দার ঝড়, অন্যদিকে অনুরাগীদের প্রশংসা—দুই পক্ষের স্রোতের মাঝেও নুসরাত স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি সব উৎসবকে সমানভাবে ভালোবাসেন।

অভিনেতা যশ দাশগুপ্তও বাড়ির পূজার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন, যা দেখে ভক্তরা খুশি। তাদের সম্পর্কের ধোঁয়াশা কিছুটা কেটেছে বলে মনে করছেন অনেকে।

বিতর্ক যতই চলুক, নুসরাত জাহান আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন—ধর্ম কাউকে বিভক্ত করে না, বরং সম্প্রীতির আলোয় মানুষকে একত্রিত করে।

কঙ্গনা রানাওয়াতের স্পষ্টবক্তা: বিবাহিত পুরুষের সম্পর্কে নারীদেরই কেন দোষারোপ?

কঙ্গনা রানাওয়াতের স্পষ্টবক্তা: বিবাহিত পুরুষের সম্পর্কে নারীদেরই কেন দোষারোপ?

 বলিউডের ‘বিতর্কের রানি’ খ্যাত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত আবারও আলোচনায়। তাঁর স্পষ্টবাদী স্বভাবের জন্য বরাবরই আলোচিত তিনি এবার মুখ খুলেছেন বিবাহিত পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এর জন্য নারীদের দোষারোপের প্রবণতা নিয়ে। সম্প্রতি ‘হাউটারফ্লাই’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সমাজের এই ভুল মানসিকতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

কঙ্গনা বলেন, “যখন আপনি তরুণ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী, আর কোনো বিবাহিত পুরুষ আপনার প্রতি আগ্রহ দেখায়, তখন সেই সম্পর্কে জড়ানোর জন্য শুধু নারীকেই দোষী করা হয়। এটা পুরুষের দোষ নয়। সমাজ সব সময় নারীদের দায়ী করতে পছন্দ করে। এমনকি ধর্ষণের শিকার নারীদেরও তাদের পোশাক বা রাতে বাইরে থাকার জন্য দোষ দেওয়া হয়। এগুলো ভুল মানসিকতার প্রতিফলন।”

কঙ্গনা নিজের অতীতের একটি অভিজ্ঞতার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ১৭ বছর বয়সে তিনি অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, যিনি তখন বিবাহিত এবং সন্তানের জনক ছিলেন। ২০১৯ সালে কঙ্গনা আদিত্যের বিরুদ্ধে হেনস্তা ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। তবে এই ঘটনার পরেও দোষের বোঝা তাঁর ওপরই বর্তায়। তিনি বলেন, “এটা আমার জন্য খুব কঠিন সময় ছিল। আমার ওপর শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম, মানুষ আমাকে সাহায্য করবে। কিন্তু নারী হওয়ার কারণে আমাকে যেন ফাঁদে ফেলা হয়। আমি আদিত্যের স্ত্রী জারিনা ওয়াহাবের কাছেও সাহায্য চেয়েছিলাম।”

২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় কঙ্গনার। এরপর ‘ওহ লামহে’ (২০০৬) ও ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ (২০০৭)-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের মন জয় করেন। সম্প্রতি তিনি নিজের পরিচালিত, প্রযোজিত ও লেখা ছবি ‘ইমার্জেন্সি’-তে অভিনয় করেছেন।

কঙ্গনার এই স্পষ্টবাদী মন্তব্য সমাজে নারীদের প্রতি দোষারোপের প্রবণতার বিরুদ্ধে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাঁর কথায় ফুটে উঠেছে তাঁর সাহসী ও অকপট স্বভাব, যা তাঁকে বলিউডে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব করে তুলেছে।

Saturday, August 16, 2025

তাড়াহুড়ো করে বিয়ে নয়, সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ মালাইকা অরোরার

তাড়াহুড়ো করে বিয়ে নয়, সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ মালাইকা অরোরার

 বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ দিয়েছেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে করা উচিত নয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের জীবনের শিক্ষা ও সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।

অভিনেতা আরবাজ খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অর্জুন কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মালাইকা। দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকলেও তাদের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যায়। বয়সের পার্থক্য নাকি অন্য কারণে তাদের বিচ্ছেদ—এ বিষয়ে কেউই স্পষ্ট কিছু বলেননি। তবে এই জুটিকে নিয়ে বলিপাড়ায় আলোচনা এখনও থামেনি।

সাক্ষাৎকারে মালাইকাকে প্রশ্ন করা হয়, তরুণ বয়সে ফিরে গেলে নিজেকে কী পরামর্শ দিতেন? তিনি বলেন, “আমি বলতাম, বিয়ের জন্য সময় নাও। তাড়াহুড়ো করে বিয়ে করার দরকার নেই। আগে কাজ করো, জীবনের পথচলা বোঝো, তারপর এমন সিদ্ধান্ত নাও। আমি খুব অল্প বয়সে বিয়ে করেছিলাম।”

১৯৯৮ সালে আরবাজ খানের সঙ্গে বিয়ে করেন মালাইকা। ২০০২ সালে তাদের ছেলে আরহান খানের জন্ম হয়। তবে ২০১৬ সালে তারা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিচ্ছেদ হয়।

দ্বিতীয়বার বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মালাইকা বলেন, “নেভার সে নেভার। আমি একজন ভীষণ রোমান্টিক মানুষ। আমি এখনও প্রেমে বিশ্বাস করি। ভালোবাসা সম্পর্কিত সবকিছুতে আমার আস্থা আছে। তাই কখনও না বলার কিছু নেই।”

অন্যদিকে, আরবাজ খান বিচ্ছেদের পর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন। বর্তমানে তিনি স্ত্রী সুরা খানের সঙ্গে সংসার করছেন। শোনা যাচ্ছে, বিয়ের দেড় বছরের মাথায় সুরা মা হতে চলেছেন।

এদিকে, বলিপাড়ায় গুঞ্জন উঠেছে যে মালাইকা ও অর্জুন কাপুর হয়তো আবার এক হতে পারেন। যদিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে অপরকে সমর্থন ও লাইক-কমেন্টের মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

মৌনি রায়: দুই দশকের সংগ্রামেও বহিরাগত, তবু ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ

মৌনি রায়: দুই দশকের সংগ্রামেও বহিরাগত, তবু ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ

 বাঙালি কন্যা মৌনি রায় ২০০৪ সালে ‘রান’ ছবির একটি নাচের দৃশ্য দিয়ে বলিউডে প্রথম পা রাখেন। তবে অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ হয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কিউকি সাস ভি কভি বহু থি’-তে। এরপর একের পর এক টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করে তিনি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যান। বিশেষ করে ভৌতিক থ্রিলার ‘নাগিন’ তাঁকে জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে যায়। সম্প্রতি জিও হটস্টারের ‘সলাকার’ ওয়েব সিরিজে দাপুটে গোয়েন্দা চরিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। প্রায় দুই দশকের বিনোদন জগতের যাত্রায় মৌনি প্রমাণ করেছেন তাঁর বহুমুখী প্রতিভা। তবুও ভালো চরিত্র পাওয়ার জন্য তাঁকে সংগ্রাম করতে হয়। সম্প্রতি এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি এই সংগ্রাম ও ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেছেন।

অয়ন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান’-এ ‘জুনুন’ নামের খলনায়িকার চরিত্রে মৌনি দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। ‘সলাকার’ সিরিজে ‘সৃষ্টি চতুর্বেদী’ নামের গোয়েন্দা চরিত্রে তাঁর পরিমিত ও সাবলীল অভিনয়ও সমাদৃত হয়েছে। বারবার চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দেখিয়েছেন, তিনি এখনো ফুরিয়ে যাননি।

তবে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর সাফল্যের পরও মৌনিকে ভালো চরিত্র পাওয়ার জন্য কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তিনি বলেন, “একজন বহিরাগত হিসেবে এই সংগ্রাম চলতেই থাকবে। আপনার শেষ প্রজেক্ট যত সফলই হোক, কাজ যত সমাদৃতই হোক, বহিরাগত হিসেবে এখানে একটি ভালো চরিত্র পাওয়া মুশকিল। বাইরে থেকে আসা মানুষদের অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাই আমি ছোট-বড় যে প্রস্তাব আসে, তার মধ্য থেকে ভালো কিছু বেছে নেওয়ার চেষ্টা করি।”

মৌনির মতে, ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে আসা মানুষেরা তুলনামূলকভাবে কম সুযোগ পান এবং কঠিন প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, “ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে আসা প্রতিভাবান অভিনয়শিল্পীদের সমানভাবে অডিশন দেওয়ার সুযোগ পাওয়া উচিত। আমি কখনো অডিশন দিতে পিছপা হই না।”

‘টাইপকাস্ট’ প্রথা নিয়ে মৌনি বিরক্ত। তিনি বলেন, কোনো অভিনয়শিল্পী যদি একটি নির্দিষ্ট ধরনের চরিত্রে সফল হন, তাঁকে বারবার একই ধরনের চরিত্রের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ‘নাগিন’-এর পর তাঁকেও এইভাবে ‘নাগিন’ চরিত্রে বেঁধে ফেলা হয়েছিল। তবে ভিন্নধারার চরিত্রে অভিনয় করে তিনি এই শিকল ভেঙেছেন। ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ক্রমাগত নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন।

আগামী দিনে আরও বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত মৌনি রায়। বহিরাগত হিসেবে তাঁর সংগ্রাম অব্যাহত থাকলেও, তিনি বিশ্বাস করেন, প্রতিটি নতুন চরিত্রই তাঁর জন্য নিজেকে নতুনভাবে প্রমাণের সুযোগ।