গত বছর বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়িতে গুলির ঘটনার পর এবার গুলি চলল অভিনেত্রী দিশা পাটানির বাসভবনে। শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে উত্তর প্রদেশের বরেলিতে অবস্থিত দিশার বাড়ির বাইরে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার ও রোহিত গোদারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, স্থানীয় ধর্মগুরু প্রেমানন্দের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের অভিযোগে এই হামলা চালানো হয়েছে। বরেলির সিভিল লাইনস এলাকায় ৪০ নম্বর ভিলায় পাটানি পরিবারের বাসস্থান। শুক্রবার সেখানেই এই ঘটনা ঘটে।
গোল্ডি ব্রার ও রোহিত গোদারার গ্যাং ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। পোস্টে লেখা হয়েছে, “আমি, বীরেন্দ্র চরণ এবং মহেন্দ্র শরণ (দেলানা), আজ খুশবু পাটানি ও বলিউড অভিনেত্রী দিশা পাটানির বাড়িতে যে গুলি চালানো হয়েছিল, তার দায় স্বীকার করছি। তিনি আমাদের শ্রদ্ধেয় সাধুদের (প্রেমানন্দ এবং অনিরুদ্ধাচার্য) অপমান করেছেন। তিনি আমাদের সনাতন ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন। আমাদের পূজিত দেবদেবীদের অপমান বরদাস্ত করা হবে না। এটি কেবল একটি ট্রেলার ছিল। পরের বার যদি তিনি বা অন্য কেউ আমাদের ধর্মের প্রতি কোনো অশ্লীল আচরণ দেখান, তাহলে আমরা কাউকে তাদের বাড়িতে জীবিত রেখে যাব না। এই বার্তা শুধু তার জন্য নয়, চলচ্চিত্র জগতের সব শিল্পী এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য। আমাদের ধর্ম রক্ষায় যদি যেকোনো পর্যায়ে যেতে হয়, আমরা তার জন্য প্রস্তুত।”
এদিকে, দিশা পাটানি এবং তার বড় বোন খুশবু পাটানি এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি। জানা গেছে, খুশবু পাটানি, যিনি একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সমাজমাধ্যমে বেশ সক্রিয়। তিনি আধ্যাত্মিক নেতা অনিরুদ্ধাচার্যের একটি মন্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন।
এক ধর্মসভায় অনিরুদ্ধাচার্য বলেছিলেন, “আজকালকার পুরুষেরা ২৫ বছরের আশপাশের নারীদের সঙ্গী হিসেবে খুঁজে নেন। কিন্তু এই বয়সি নারীরা ততদিনে চার-পাঁচ জনের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেন।” এই মন্তব্যের জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে খুশবু প্রেমানন্দকে ‘দেশদ্রোহী’ ও ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “এই লোকটা আমার সামনে থাকলে, আমি ওকে ভালো করে বুঝিয়ে দিতাম। এরা দেশদ্রোহী। এদের সমর্থন করা উচিত নয়।”
গুলির ঘটনার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। দিশা পাটানির পরিবারের সুরক্ষার জন্য তাদের বাড়ির সামনে একদল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।