Friday, September 12, 2025

মানুষের প্রতি আস্থা হারাচ্ছি, ভালোবাসা ও মানবিকতা হারিয়ে গেছে: সামিরা খান মাহি

 ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি সমাজে মানুষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হিংসা, নেতিবাচকতা এবং সহমর্মিতার অভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, সময় মানুষকে একেবারে ভিন্ন রূপে বদলে দিয়েছে, যেখানে ভালোবাসা ও মানবিকতার জায়গায় জায়গা করে নিয়েছে প্রতিযোগিতা ও বিচারের মনোভাব।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাসে মাহি এই অনুভূতি প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, “আজকাল ২৪ ঘণ্টা ভয়ে থাকি। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের না, কোনো সমস্যার না; সবচেয়ে বেশি ভয় মানুষের। সময় যেন মানুষকে একেবারেই অন্য রকম করে দিয়েছে। এখন চারপাশে শুধু প্রতিযোগিতা, হিংসা, নেতিবাচকতা। একে অপরকে বুঝতে শেখার পরিবর্তে মানুষ এখন শুধু দোষ ধরতে শেখে। ভালো কিছু বললে বা করলে সেটার প্রশংসা না হয়ে উলটো সমালোচনা আসে।”

মাহি আরও লেখেন, “আমরা এমন এক সমাজে বাস করছি, যেখানে মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করতে চায় না, বরং কারো সুখ দেখলেই কষ্ট পায়। সহমর্মিতা হারিয়ে গেছে, জায়গা নিয়েছে বিচার আর হিংসা। আগে যেখানে প্রতিবেশী মানেই পরিবার, এখন সেখানে অপরিচিতের মতো দূরত্ব। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হলো আজ মানুষ মানুষকেই ভয় পায়।”

তিনি শেষে প্রশ্ন তুলে বলেন, “আমরা নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে ভয় পাই, কারণ জানি শোনার বদলে কটুকথাই ফিরবে। এই কি সেই সমাজ, যে সমাজের জন্য আমরা এত সংগ্রাম করি? কোথায় হারিয়ে গেল মানুষের সরলতা, ভালোবাসা আর মানবিকতা?”

মাহির এই পোস্টে তার ভক্তদের একাংশ গভীরভাবে একমত পোষণ করলেও কেউ কেউ এটিকে গুরুত্ব না দিয়ে হাসির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, “কথাগুলো একদম সত্য। কিন্তু এর মধ্যে আবার অনেকে হা হা রিয়েক্ট দেয়।” এর জবাবে মাহি লেখেন, “কারণ ওদের জীবনটাই একটা হাহা।”

এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মাহির কথার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করলেও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.