বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালান পর্দার চরিত্র থেকে বাস্তব জীবন—সবখানেই যেন বাঙালি নারীর এক অনন্য ছাপ রেখেছেন। তার ক্যারিয়ারের প্রথম ব্রেক এসেছিল গৌতম হালদারের বাংলা চলচ্চিত্র ‘ভালো থেকো’ দিয়ে। এরপর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পরিণীতা’ তাকে পৌঁছে দেয় বলিউডের শীর্ষে। সুজয় ঘোষের ‘কাহানি’ ছবিতে প্রকৃত বাঙালি নারীর চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেন তিনি। সম্প্রতি এক খোলামেলা সাক্ষাৎকারে বিদ্যা তার বাংলাপ্রীতি এবং বাঙালিয়ানার সঙ্গে গভীর বন্ধনের কথা তুলে ধরেছেন।
বিদ্যার সঙ্গে বাংলার এই নিবিড় যোগ শুধু পর্দায় সীমাবদ্ধ নয়, তার ব্যক্তিগত জীবনেও এটি স্পষ্ট। তিনি বাংলা ভাষা জানেন এবং বাংলার সংস্কৃতিকে নিজের মতো করে গ্রহণ করেছেন। প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ একসময় তার এই বাংলাপ্রীতির প্রশংসা প্রকাশ্যে করেছিলেন। নিজের টকশো ‘ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি’তে বিদ্যাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ঋতুপর্ণ বলেছিলেন, “ইংরেজি হরফে একটি লেখা নির্ভুলভাবে বাংলায় লিখে বিদ্যা আমাকে মেসেজ করেছিল। আমি সেই মেসেজ সকলকে দেখিয়েছিলাম।”
ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তার ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে বিদ্যা বলেন, “আমার ধারণা, আগের জন্মে আমি বাংলার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। হয়তো আমি বাঙালিই ছিলাম। তাই এই জন্মেও বাঙালিয়ানা আমার পিছু ছাড়েনি। বরং আমাকে বারবার ফিরিয়ে এনেছে এই বাংলায়। আমি বাঙালি হতে খুব ভালোবাসি।”
বিদ্যার এই আন্তরিক বক্তব্য তার ভক্তদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তার এই গভীর ভালোবাসা তাকে পর্দা এবং বাস্তব জীবনে এক অনন্য বাঙালি রূপে উপস্থাপন করেছে।