Saturday, August 2, 2025

‘বরবাদ’ সিনেমার সাফল্যের আড়ালে ডাবিং পারিশ্রমিক নিয়ে বিতর্ক

গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া শাকিব খান অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’ বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছে। দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের উপচে পড়া ভিড় এবং প্রায় ৭৫ কোটি টাকার আয় নিয়ে সিনেমাটি উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে এই সাফল্যের পেছনে এবার প্রকাশ্যে এসেছে এক বিতর্ক।

সিনেমাটির পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয়-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী দিলরুবা দোয়েল। তার দাবি, ‘বরবাদ’ সিনেমার একটি চরিত্রের ডাবিং সম্পন্ন করেও তিনি নিজের পারিশ্রমিক পাননি।

দোয়েল গণমাধ্যমকে জানান, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেতে তাড়াহুড়ো করে তাকে ডাবিংয়ের জন্য অনুরোধ করা হয়। পরিচালক হৃদয়ের সহকারী ফোন করে বলেন, অভিনেত্রী ইধিকা পালের চরিত্রের ডাবিং না হলে সেন্সর জটিলতা কাটবে না।

দোয়েল বলেন, “আমি ডাবিং করেছি, কিন্তু কোনো পারিশ্রমিক পাইনি। বারবার ফোন করলেও পরিচালক ফোন ধরেননি। টাকা বড় বিষয় নয়, কিন্তু একজন শিল্পী হিসেবে সম্মানটাও তো গুরুত্বপূর্ণ। এত বড় সিনেমা বানানো হলেও শিল্পীদের প্রতি ন্যূনতম সম্মান নেই—এটা দুঃখজনক। মনে হচ্ছে, ওনারা যেন হলিউড থেকে এসেছেন!”

এই অভিযোগের জবাবে পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয় বলেন, “আমি জানিই না দোয়েলের কোনো পেমেন্ট বাকি আছে। ও যদি ফোন করে থাকে, হয়তো অপরিচিত নম্বর দেখে ধরিনি। ওর নম্বরও আমার কাছে নেই। যদি একটা টেক্সট দিত, তাহলে নিশ্চয়ই কথা হতো।”

তিনি আরও বলেন, “এই বিষয়ে আমার সঙ্গে দোয়েলের কোনো যোগাযোগ হয়নি। বরবাদ সিনেমার বাংলাদেশ অংশের সহকারী পরিচালক ছিলেন আজাদ ভাই। ডাবিংয়ের বিষয়গুলো তিনি এবং ভারতের টিম দেখেছেন, আমি নয়।”

প্রসঙ্গত, ‘বরবাদ’ সিনেমাটি ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকায় নির্মাণ হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, ইধিকা পাল, মিশা সওদাগর, বাবু, সেলিম, যীশু সেনগুপ্ত, শ্যাম ভট্টাচার্য প্রমুখ। সিনেমার আইটেম গানে অংশ নেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।

সিনেমাটি যেমন বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছে, তেমনি এর প্রযোজনা ঘিরে পেশাদার আচরণ ও শিল্পীদের অধিকার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.