Sunday, August 3, 2025

‘ডন ৩’র শুটিং ফের পিছিয়ে, বাতিলের গুঞ্জন; রণবীর সিংয়ের ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি ডিসেম্বরে

 বলিউডের জনপ্রিয় তারকা রণবীর সিংয়ের আগামী সিনেমা ‘ধুরন্ধর’ নিয়ে দর্শকদের মধ্যে ইতোমধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। নির্মাতারা জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে এই অ্যাকশন-থ্রিলার সিনেমাটি। তবে ‘ধুরন্ধর’ নিয়ে আলোচনার মাঝেই আরেকটি বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘ডন ৩’ নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, যা ভক্তদের মনে উদ্বেগ তৈরি করছে।

প্রাথমিকভাবে শোনা গিয়েছিল, ২০২৩ সালের আগস্টে ‘ডন ৩’র শুটিং শুরু হবে। কিন্তু পরিচালক ফারহান আখতারের ‘১২০ বাহাদুর’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। এরপর নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ২০২৫ সালের মে-জুন মাসে শুটিং শুরুর কথা ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক খবরে জানা গেছে, এই সময়সূচিও পিছিয়ে গেছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ডন ৩’র শুটিং এখন ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি কিছু মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, সিনেমাটি পুরোপুরি বাতিলও হতে পারে।

একটি বক্স অফিস ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খলনায়কের ভূমিকায় থাকা বিক্রান্ত মেসি সিনেমাটি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কারণ তিনি চরিত্রটিতে গভীরতার অভাব অনুভব করেছেন। তাঁর এই প্রস্থানকে শুটিং পিছানোর অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়া, ফারহান আখতারের ‘১২০ বাহাদুর’ সিনেমার মুক্তি এবং রণবীর সিংয়ের ‘ধুরন্ধর’র শুটিং সম্পন্ন করার অগ্রাধিকারও ‘ডন ৩’র বিলম্বের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

এর আগে ‘ডন ৩’ থেকে সরে গিয়েছেন কিয়ারা আদভানি, যিনি সম্প্রতি মা হয়েছেন। তাঁর জায়গায় কৃতি শ্যাননের নাম উঠলেও এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রণবীর সিং এবং কৃতি শ্যানন এখনো এই গুঞ্জন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

এদিকে, ‘ধুরন্ধর’ সিনেমাটি অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার হলেও এর শুটিং প্রায় শেষের দিকে। রণবীর সিং ছাড়াও এতে অভিনয় করছেন সঞ্জয় দত্ত, আর মাধবন, অক্ষয় খান্না ও অর্জুন রামপাল। সিনেমাটির মুক্তি নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। তবে ‘ডন ৩’র ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ভক্তদের মাঝে হতাশা তৈরি করেছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.