একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে মৌসুমী চৌধুরী বলেন, ‘২০২৩ সালে গানটি রেকর্ড করি, যার লেখক আমার গুরু ইথুন বাবু। এরপর রাজশাহীর বিএনপির সমাবেশে এটি গাই। গানটি নিয়ে সারা দেশে ঘুরেছি। তখনকার ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে গান করা মানেই ছিল জীবনের ঝুঁকি নেওয়া। অনেক হুমকি পেয়েছি, বাসা পরিবর্তন করতে হয়েছে, এমনকি গ্রামের বাড়ি থেকেও হুমকি আসত।’
তিনি জানান, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের পর তাকে দীর্ঘ সময় পালিয়ে থাকতে হয়। তিনি বলেন, ‘তখন সবচেয়ে বেশি সময় গা-ঢাকা দিয়েছিলাম।’
রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে মৌসুমী বলেন, ‘আমি বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছি গান দিয়েই। মনে হয়েছে, শুধু অস্ত্র নয়, গান দিয়েও লড়াই করা যায়। যদি কণ্ঠই আমার অস্ত্র হয়, তাহলে আমি কেন পিছু হটব? আমি ভালোবেসে দেশের জন্য কাজ করছি, কোনো পদ-পদবির আশায় নয়।’
২০২৪ সালের জুলাইয়ে আন্দোলন তুঙ্গে থাকাকালীন গানটি মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। ১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যুতে মর্মাহত হয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তো দেশের ভবিষ্যত, তাদের রক্ত ঝরা আমাদের বিবেক নাড়া দিয়েছে।’
মৌসুমী চৌধুরীর প্রতিবাদী সুর এখনো থামেনি। সম্প্রতি তিনি ‘এ যুদ্ধ কবে হবে শেষ’ শিরোনামে একটি নতুন গান প্রকাশ করেছেন, যা সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সামাজিক অস্থিরতার প্রতিফলন।