বিদ্যা বালান জানান, ‘পরিণীতা’ সিনেমার শুটিংয়ের আগে প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়া তাকে বলেছিলেন, “তোমার নাকটা খুব লম্বা, সার্জারি করাও।” এই কথা শুনে তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমি সোজাসাপটা বলে দিয়েছিলাম, আমি এটা করব না। আমি যেমন আছি, তেমনই থাকতে চাই। আজ পর্যন্ত আমি মুখে কোনো সার্জারি করিনি, শুধু মাঝেমধ্যে ফেশিয়াল করি। ঈশ্বর যেমন আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তাই আমার কাছে যথেষ্ট সুন্দর।”
এটিই প্রথম অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা ছিল না। বিদ্যা আরও জানান, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে একটি মালয়ালম সিনেমায় কাজ করার সময় তাকে পদবি বদলানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমাকে বলা হলো, তুমি তো আইয়ার, তাহলে ‘বিদ্যা আইয়ার’ নামে কাজ করো, ‘বিদ্যা বালান’ নয়।” তিনি সে সময় রাজি হয়ে নাম বদলালেও বাড়ি ফিরে কেঁদে ফেলেন। তার মা-বাবা তখন বলেছিলেন, “তুমি সবসময়ই বিদ্যা বালানই থাকবে।” পরে সেই সিনেমাটি আর নির্মিত হয়নি।
বিদ্যা বলেন, এই ধরনের ঘটনাগুলো তাকে শিখিয়েছে যে, নিজেকে গ্রহণ না করলে কোনো কাজেই শান্তি পাওয়া যায় না। বিধু বিনোদ চোপড়ার প্রস্তাব শুনে তার একই অনুভূতি হয়েছিল। তবে তিনি প্রশংসা করে বলেন, “বিধু বিনোদ চোপড়ার প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে আমি প্রথম তিনটি সিনেমা করেছি। সেখানে খুবই পেশাদার পরিবেশে কাজ হতো। সময়মতো সব প্রস্তুতি থাকত, সেটে কোনো ঝামেলা হতো না। তাই আমি এই প্রতিষ্ঠানকে আমার ‘আলমা মেটার’ বলে মনে করি।”
‘পরিণীতা’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন প্রদীপ সরকার এবং প্রযোজনা করেছিলেন বিধু বিনোদ চোপড়া। এই ছবিতে বিদ্যার অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছিল এবং তাকে বলিউডে একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।