চলুন জেনে নিই এমন কিছু বলিউড তারকা সম্পর্কে, যারা বিদেশে অভিনয়ের পাঠ নিয়ে ফিরেছেন আরও সাবলীল হয়ে—
জাহ্নবী কাপুর
বিখ্যাত অভিনেত্রী শ্রীদেবীর কন্যা জাহ্নবী কাপুর বলিউডে পা রাখার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের লি স্ট্রাসবার্গ থিয়েটার অ্যান্ড ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে অভিনয়ে প্রশিক্ষণ নেন। এ প্রতিষ্ঠানের ‘মেথড অ্যাক্টিং’ তাকে চরিত্রে ঢুকে অভিনয় করার বিশেষ ক্ষমতা এনে দেয়। ‘ধড়ক’ কিংবা ‘গুঞ্জন সাক্সেনা’-তে তার পরিণত অভিনয়ে এই বিদেশি প্রশিক্ষণের ছাপ স্পষ্ট।
সোনম কাপুর
স্টাইল আইকন হিসেবে পরিচিত হলেও সোনম কাপুর অভিনয়েও প্রশংসিত। তিনি পড়ালেখা করেছেন সিঙ্গাপুরের ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড কলেজ অব সাউথ ইস্ট এশিয়া-তে, যেখানে থিয়েটার ও আর্টসে পেয়েছেন ভিত্তিমূলক শিক্ষা। ‘নীরজা’ কিংবা ‘রাঞ্জনা’-তে তার অভিনয়ে সেই শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায়।
রণবীর কাপুর
চলচ্চিত্র পরিবারের সন্তান হলেও রণবীর কাপুর অভিনয়ের খুঁটিনাটি শিখতে যান লি স্ট্রাসবার্গ ইনস্টিটিউট। তার অভিনয়ে আবেগ, চরিত্রে প্রবেশের গভীরতা, সবই এই প্রশিক্ষণের ফল। ‘রকস্টার’, ‘বারফি!’, ‘সঞ্জু’— সব সিনেমায় রণবীর দেখিয়েছেন মেথড অ্যাক্টিং-এর বাস্তব প্রয়োগ।
রিতেশ দেশমুখ
কমেডি হোক বা সিরিয়াস রোল— দুটোতেই সমান দক্ষ রিতেশ দেশমুখ। তিনি অভিনয়ের প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ নিয়েছেন লি স্ট্রাসবার্গ ইনস্টিটিউট থেকে। এই প্রশিক্ষণই তাকে ‘হাউসফুল’, ‘এক ভিলেন’, ‘রান’-এর মতো সিনেমায় চরিত্রের গভীরে গিয়ে অভিনয়ের সুযোগ করে দেয়। তার অভিনয়ে হাস্যরসের সঙ্গে আবেগের মিশেল দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।
অক্ষয় ওবেরয়
অক্ষয় ওবেরয় অভিনয়কে নৈপুণ্যে রূপ দিতে গিয়েছিলেন নিউইয়র্কের স্টেলা অ্যাডলার স্টুডিও অব অ্যাক্টিং-এ। এরপর প্লেহাউস ওয়েস্ট-এ গিয়ে আয়ত্ত করেন মেইসনার পদ্ধতি, যেখানে বাস্তব অভিব্যক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তার অভিনয়ে সেই বাস্তবতার প্রতিফলন স্পষ্ট, যা আজকের বলিউডে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।
এই তারকারা প্রমাণ করেছেন, শুধু প্রতিভা নয়, তার সঙ্গে প্রয়োজন পেশাদার প্রশিক্ষণ, নিষ্ঠা এবং আত্মনিবেদন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা তারা সঞ্চয় করেছেন, তা বলিউডের সিনেমাকে করেছে আরও পরিণত ও বিশ্বমানের।