Monday, August 4, 2025

পরীমনির দত্তক কন্যা নিয়ে গুজবের প্রতিবাদ: ফেসবুকে কঠোর ভাষায় জবাব

 
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি সবসময়ই তার জীবনের নানা দিক নিয়ে অকপটে কথা বলে থাকেন। আবেগ, ভালোবাসা, রাগ-ক্ষোভ—সবকিছুই তিনি প্রকাশ্যে প্রকাশ করেন। অভিনেতা শরীফুল রাজের সঙ্গে তার প্রেম, বিয়ে এবং বিচ্ছেদও ঘটেছে সবার সামনে। বর্তমানে তিনি তার দুই সন্তান রাজ্য ও প্রিয়মকে নিয়ে সুখের জীবনযাপন করছেন। তবে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি গুজব তাকে তীব্রভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। গুজবটি হলো, পরীমনি নাকি তার দত্তক কন্যা প্রিয়মকে তার পরিবারে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

এই গুজবের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। নিজের ফেসবুক পোস্টে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি লিখেছেন, “আমাদের সবার জীবনের আনাচে-কানাচে অতি উৎসাহী লোকদের অভাব নেই। তাদের জীবনের সমস্ত অভাব পূরণ হয় অন্যের জীবন নিয়ে চর্চা করে। মনে রাখবেন, আমরা যারা শোবিজ অঙ্গনে কাজ করি, তাদেরও ব্যক্তিগত জীবন খুব সাদামাটা, সাধারণ, সবার মতোই। আমার তো একদমই তাই। ঘরের মধ্যে আমি চুলে একগাদা তেল মেখে আরাম করে ঘরের কাজ করতে থাকি।”

পরীমনি আরও জানান, তিনি নিজে বাচ্চাদের খাবার রান্না করেন এবং তাদের যাবতীয় কাজ নিজের হাতে করেন, যদি না তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকেন বা শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকেন। তিনি বলেন, “বাচ্চারা তো আমার জীবনে আসলই মাত্র তিন বছর হতে যাচ্ছে। কিন্তু এর আগে আমার নানা ভাইয়ের রান্না থেকে শুরু করে তার যাবতীয় কাজ আমি নিজের হাতেই করতাম। এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত জীবন।”

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “কিন্তু কী অদ্ভুত ব্যাপার! পাবলিক ফিগার বলে পইপই করে জীবনের সবকিছু জানাতে হবে আজকে আমার! নেন জানেন। কিছুদিন ধরে খেয়াল করলাম, কিছু অবাঞ্ছিত মানুষ আমার মেয়েকে নিয়ে খুব চিন্তিত। রীতিমতো পোস্ট করছে আমাকে ট্যাগ করে, কমেন্ট করছে আমার পোস্টে যে, ‘আপনার দত্তক মেয়েকে তো দেখি না আর। কই সেই দত্তক মেয়ে!’ এরকম নানান ধরনের কথা। ভাই, প্রথমত মেয়েটা আমার মেয়ে। কথায় কথায় দত্তক দত্তক বলে এদের কী মজা লাগে, আমি সত্যিই বুঝি না।”

‘দত্তক’ শব্দটি ব্যবহার করে ভিউ ব্যবসার অভিযোগ তুলে পরীমনি লিখেছেন, “আমি এটাও খেয়াল করেছি, আমার মেয়ের ছবি/ভিডিও দিলেই কিছু মাথামোটা লোকজন কনটেন্ট পেয়ে যায়। দত্তক শব্দটা দিয়ে একটা ক্যাপশন দেয় আর ভিউ ব্যবসা শুরু করে। আমার মেয়ে কোনো বিজনেস এলিমেন্ট না, এটা একদম ভালোমতো বুঝে নেন এখন থেকে। আমার ইচ্ছে হলে আমি আমার বাচ্চাদের ছবি দেবো, না ইচ্ছে হলে দেবো না। এই সিম্পল কথাটা মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলেন আরামছে। এই কমেন্টে কমেন্টে আমার বাচ্চাদের খুঁজবেন না আর। আমি আমার বাচ্চাদের খালে ফেলে দিছি হিহিহি….. খুশি? হ্যাপি ফ্রেন্ডশিপ ডে। আমার সমস্ত শুভাকাঙ্ক্ষী, অনুসারীদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।”

অনেকদিন ধরে নতুন কোনো সিনেমায় দেখা যাচ্ছে না পরীমনিকে। তবে তার ভক্ত-অনুরাগীরা আশা করছেন, শিগগিরই তিনি নতুন প্রজেক্ট নিয়ে পর্দায় ফিরবেন।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.