Friday, August 1, 2025

রাজনীতি থেকে রেষারেষি, সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র বাকযুদ্ধে জড়ালেন বাঁধন ও সোহানা সাবা

দেশের রাজনৈতিক পালাবদলের ঢেউ এখন শুধু রাজপথে সীমাবদ্ধ নেই, তার আঁচ লাগছে মিডিয়া অঙ্গনেও। মতাদর্শিক বিভাজনের ছায়া এবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনসোহানা সাবার সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়া সংঘর্ষে। ভার্চুয়াল জগতে এই দ্বন্দ্ব যেন প্রমাণ করে দিল, রাজনীতি এখন ব্যক্তিগত সম্পর্কেও প্রভাব ফেলছে।

‘জুলাই আন্দোলন’-এর সময় থেকে রাজপথে সরব ছিলেন বাঁধন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তার অংশগ্রহণ প্রশংসা যেমন কুড়ায়, তেমনি সমালোচনাও পিছু নেয় তাকে। নানা ট্রল, কটাক্ষ এবং ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের মধ্যেও নিজের অবস্থান ধরে রাখেন বাঁধন।

অন্যদিকে সোহানা সাবা আলোচনায় ছিলেন সাবেক ক্ষমতাসীন দলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে, বিশেষ করে আলোচিত ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নিয়ে বহু গুঞ্জন ছড়িয়েছিল।

সম্প্রতি বাঁধনের একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে বিতর্ক চরমে পৌঁছায়। সেই পোস্টে এক নারী বাঁধনের উদ্দেশে কটূ মন্তব্য করেন, যার স্ক্রিনশট সোহানা সাবা নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করেন। সাবা লেখেন— “এই কমেন্টটা আপু ডিলিট করে দিয়েছেন। হয়তো দিদিটিকে ব্লকও করেছেন। ভাগ্যক্রমে আমার টাইমলাইনে ভেসে উঠেছিল, তাই সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিনশট নিয়ে রেখেছিলাম।”

স্ক্রিনশটে থাকা মন্তব্যটি ছিল অত্যন্ত ব্যক্তিগত ও তির্যক, যেখানে বাঁধনের ব্যক্তিজীবন, কর্মপদ্ধতি এবং কলকাতায় তার কাজ নিয়েও কটাক্ষ করা হয়। অনেকেই মনে করছেন, এই পোস্টের মাধ্যমে সাবা পরোক্ষভাবে বাঁধনকে অপমানের সুযোগ করে দিয়েছেন।

এই ঘটনার পরপরই আজমেরী হক বাঁধন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি দীর্ঘ প্রতিক্রিয়া জানান। সেখানে তিনি কারও নাম উল্লেখ না করলেও ইঙ্গিতে স্পষ্ট করেন, সহকর্মীদের কেউ তাকে ইন্টারনেটে আক্রমণ করছেন।
তিনি লেখেন— “যাদের আমি বিশ্বাস করতাম, তারাই আজ আমাকে অসম্মান করছে। শুধু আমাকে নয়, আমার বিশ্বাসকেও টেনে নামানো হচ্ছে। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তরাও সেই তালিকায় রয়েছেন।”

বাঁধনের এই পোস্ট দেখে অনেকেই ধরে নিচ্ছেন, এটি সরাসরি সোহানা সাবাকে উদ্দেশ করেই দেওয়া।

নেটিজেনদের একাংশ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলেও, অনেকে বলছেন—শোবিজ অঙ্গনেও এখন রাজনৈতিক মতবিরোধের রেষারেষি স্পষ্ট। এই দ্বন্দ্ব সামাজিক মাধ্যমে বহুল আলোচিত এবং ভবিষ্যতে এর প্রভাব আরও দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.