শুভাকাঙ্ক্ষী ও পরিচিতজনদের মাধ্যমে এই ভুয়া ভেরিফায়েড পেজ সম্পর্কে জানতে পেরে শাবনূর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি ফেসবুক ব্যবহার করতাম না। তখন আমার নামে অনেক ফেসবুক আইডি বানানো হয়েছিল, তা নিয়ে কিছু বলিনি। পরে আমি নিজে ফেসবুক ব্যবহার শুরু করলে সবাই বুঝতে পারেন কে আসল, কে নকল। অনেকে আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ফেসবুক পেজ বা আইডি ভেরিফায়েড করতে, যাতে প্রতারকরা সুবিধা করতে না পারে। কিন্তু আমি এ বিষয়ে খুব গুরুত্ব দিইনি।”
তিনি আরও বলেন, “এখন মনে হচ্ছে, ভেরিফায়েড করে নিলেই ভালো হতো। যারা আমার নামে পেজ ভেরিফায়েড করেছে, তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয়। এই প্রতারক চক্র আমার নাম ব্যবহার করে নানা অপরাধ করতে পারে, হয়তো ইতোমধ্যে করেছেও। তাদের কাছে আমার পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য থাকতে পারে, নইলে ভেরিফায়েড করা সম্ভব হতো না। এটা নিয়ে আমি চিন্তিত।”
শাবনূর জানান, তিনি ইতোমধ্যে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর তিনি পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগকেও বিষয়টি জানাবেন। তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত, বাংলাদেশ থেকে কেউ এই পেজ চালাচ্ছে। এর পেছনে একাধিক ব্যক্তি জড়িত।”
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে শাবনূর বলেন, “এ ধরনের প্রতারক চক্রের পরিচয় যেন তারা উদঘাটন করেন।” এই ঘটনায় শাবনূরের ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরাও উদ্বিগ্ন। এখন দেখার বিষয়, আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে এই প্রতারণার জাল ভাঙতে কতটা সফলতা আসে।