নিষেধাজ্ঞার পর নাটক ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের শিল্পী, নির্মাতা এবং ডিরেক্টরস গিল্ড তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এর প্রেক্ষিতে সমিতি আলোচনার উদ্যোগ নেয়। উত্তরা কল্যাণ সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী গণমাধ্যমে বলেন, “আমরা এলাকাবাসীর স্বার্থে কাজ করি। তবে শুটিং ইউনিটগুলো যদি পরিবেশ রক্ষা করে এবং নিয়ম মেনে কাজ করে, তাহলে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে কার্যক্রম চালানো সম্ভব। আজকের বৈঠকে আমরা একটি যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছাব বলে আশাবাদী।”
‘আপন ঘর’ শুটিং হাউসের মালিক ও শুটিং হাউস মালিকদের সংগঠনের উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, “৩০ বছর ধরে আমরা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। হঠাত নিষেধাজ্ঞা সমাধান নয়। আমরা আলোচনার মাধ্যমে গঠনমূলক সমাধান চাই এবং নিয়ম মেনে কাজ করতে প্রস্তুত।”
বর্তমানে উত্তরা সেক্টর-৪ এলাকায় তিনটি সক্রিয় শুটিং হাউস—লাবণী-৪, লাবণী-৫ এবং আপন ঘর-২—রয়েছে। এ ছাড়া একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের শুটিং হাউস থাকলেও তা নিয়মিত কার্যক্রমে নেই।
সব পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে নতুন কিছু শর্ত আরোপ করে শুটিং কার্যক্রম পুনরায় চালু করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শনিবারের বৈঠকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।