Saturday, July 12, 2025

পরীমণির দায়ের করা মানহানির মামলা খারিজ, গৃহকর্মীসহ চার গণমাধ্যম ছিল আসামি



ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে চিত্রনায়িকা পরীমণির দায়ের করা মানহানির মামলা খারিজ হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিচারক মো. নূরে আলম এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মো. জুয়েল জানান, “গত ২১ মে অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ জারি করে। পরীমণির মামলাটি সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৮ ও ৩১ ধারার অধীনে দায়ের করা হয়েছিল। নতুন অধ্যাদেশে এই ধারাগুলো না থাকায় আদালত মামলাটি খারিজের আদেশ দিয়েছে।” এর আগে গত ২৩ এপ্রিল পরীমণি তার গৃহকর্মী পিংকি আক্তার ও চারটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মানহানির মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে ছিলেন পিংকি আক্তার, ‘সকল খবর’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মোর্শেদ সুমন এবং ‘প্রতিদিনের বাংলাদেশ এন্টারটেইনমেন্ট’, ‘অনলাইন পোর্টাল পিপলস নিউজ’ ও ‘ডিজিটাল খবর’। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল। মামলায় পরীমণি অভিযোগ করেন, গত ৫ মার্চ একটি সংস্থার মাধ্যমে তিনি পিংকি আক্তার নামে একজন গৃহকর্মী নিয়োগ করেন এবং ২৭ মার্চ তাকে ২০ হাজার টাকা বেতন দেন। কিন্তু ২ এপ্রিল পিংকি তার বাসা থেকে চলে যান। এরপর থেকে পিংকি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও অশ্লীল তথ্য প্রচার করে আসছেন। এই বক্তব্যের জেরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরীমণি মামলায় সংশ্লিষ্ট নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওর লিংক উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, গত ১৭ এপ্রিল পিংকি আক্তার পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ৮ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এই ঘটনা পরীমণি ও তার গৃহকর্মীর মধ্যে বিরোধের জেরে সৃষ্ট আইনি লড়াইয়ের একটি অংশ। তবে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হওয়ায় পরীমণির দায়ের করা মামলাটি খারিজ হয়ে গেছে।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.