ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৫ জুলাই মধ্যরাতে গোয়াহাটির কাহিলিপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সামিউল হক স্ট্রিটলাইট মেরামতের কাজ করছিলেন, এ সময় নন্দিনীর গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার পর অভিনেত্রী গাড়ি না থামিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে তাড়া করে ধরেন এবং বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
আহত সামিউল হককে প্রথমে গোয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তার মৃত্যু হয়। গোয়াহাটির মেয়র মৃগেন সারানিয়া তার মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ জুলাই দিসপুর থানায় অভিনেত্রী নন্দিনীকে প্রায় ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে পালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন। নন্দিনী জানান, তিনি তাতক্ষণিকভাবে পরিস্থিতির তীব্রতা বুঝতে পারেননি এবং পরে ভুক্তভোগীর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পেরে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি চিকিতসার জন্য আর্থিক সহায়তার প্রস্তাবও দিয়েছেন।
পুলিশ আরও জানায়, দুর্ঘটনায় ব্যবহৃত এএস ০১এফএম ৯১৯৯ নম্বরের গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে সামিউলের পরিবার অভিযোগ করেছে, অভিনেত্রী একজন তারকা হওয়ায় তদন্তে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। তারা কেবল ন্যায়বিচার চান এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির তারকা মর্যাদার কারণে আইনের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন।
স্থানীয় সংগঠন বীর লাচিত সেনা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং সামিউলের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করেছে। তারা সামিউলের চিকিতসার জন্য রক্তদান করেছিল এবং পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে অভিনেত্রীর দায়িত্বহীন আচরণের সমালোচনা করেছেন এবং আইনের সমান প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন।