টিএমজেডের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিশাল ঋণ পরিশোধের জন্য জাস্টিন এখন হেইলির কসমেটিক ব্র্যান্ড ‘রোড’-এর সাম্প্রতিক ১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির অর্থের দিকে তাকিয়ে আছেন। গত মে মাসে হেইলি তার এই ব্র্যান্ডটি বিউটি কোম্পানি ইএলএফ-এর কাছে বিক্রি করেন। যদিও এই ব্র্যান্ডে একাধিক বিনিয়োগকারী রয়েছেন, তবে হেইলি ও জাস্টিন এই চুক্তি থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ পাবেন। টিএমজেডের একটি সূত্র জানায়, শুধুমাত্র জাস্টিনের শেয়ার থেকেই প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার আসবে, যা দিয়ে তার পুরো ঋণ পরিশোধ সম্ভব।
২০২২ সালে জাস্টিন বিবার একটি বিরল স্নায়বিক রোগ, র্যামসে হান্ট সিনড্রোমে আক্রান্ত হন, যার ফলে তিনি তার ‘জাস্টিস ওয়ার্ল্ড ট্যুর’সহ সব সংগীত পরিবেশনা বাতিল করতে বাধ্য হন। এই বাতিলের কারণে তিনি প্রায় ২৬ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েন। তখন স্কুটার ব্রনের কোম্পানি হাইব (HYBE) তাকে এই অর্থ ঋণ হিসেবে প্রদান করে। এছাড়া, স্কুটারের জন্য আরও ১১ মিলিয়ন ডলার কমিশন বাকি ছিল, যার অর্ধেক পরিশোধে সম্মত হয়েছেন বিবার। অতিরিক্ত ৮ মিলিয়ন ডলারের একটি কমিশন দাবি স্কুটার মাফ করে দিয়েছেন।
টিএমজেডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ১৮ মাস আগে জাস্টিন তার মিউজিক ক্যাটালগ ২০০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করলেও, কর, ব্যবস্থাপনা খরচ, আইনি ও ব্যক্তিগত ব্যয়ের পর তার হাতে খুবই সামান্য অর্থ অবশিষ্ট থাকে। ফলে তিনি এই ঋণ পরিশোধে হেইলির আয়ের ওপর নির্ভর করছেন।
অন্যদিকে, হেইলির একজন মুখপাত্র ডেইলি মেইলকে জানান, “‘রোড’-এর এই ঐতিহাসিক বিক্রি হেইলির জন্য একটি বড় অর্জন এবং এটি তার স্বামীর আর্থিক বিষয় বা ঋণের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।” তবে একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জাস্টিন কোনো বড় প্রজেক্টে কাজ না করায় পুরো পরিবার এখন অনেকটাই হেইলির আয়ের ওপর নির্ভরশীল।
জাস্টিন বিবার এবং স্কুটার ব্রনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি জাস্টিন তার নতুন অ্যালবাম ‘সোয়াগ’ প্রকাশ করেছেন, যা তার সংগীত জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।