মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা প্রসেনজিত জাতীয় স্তরে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চলেছেন, যা বিনোদন জগতের জন্য উপকারী হবে এবং বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এই প্রেক্ষাগৃহগুলো হবে ‘মাইক্রো ফরম্যাট’-এর, যেখানে প্রতিটি হলে ৪০-৫০ জন দর্শকের বসার ব্যবস্থা থাকবে। এই প্রেক্ষাগৃহগুলো শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত নির্মিত হবে, যাতে সব শ্রেণির মানুষের কাছে চলচ্চিত্র পৌঁছে যায়।
এই খবর টলিউডে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নতির জন্য প্রসেনজিত এই উদ্যোগ নিয়েছেন, যাকে ‘ইন্ডাস্ট্রির জন্য ইন্ডাস্ট্রি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
নবীনা প্রেক্ষাগৃহের মালিক নবীন চৌখানি, পরিবেশক শতদীপ সাহা এবং অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা গণমাধ্যমের কাছে এই বিষয়ে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
নবীন চৌখানি বলেন, “সিঙ্গল স্ক্রিন প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা ক্রমশ কমে তলানিতে ঠেকেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই সংখ্যা বাড়ানোর আলোচনা চলছিল, কিন্তু তা কেবল আলোচনার স্তরেই ছিল। বুম্বাদা (প্রসেনজিত) অবশেষে এই পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে চলেছেন। এটি খুবই আনন্দের।”
পরিবেশক শতদীপ সাহাও একই মত প্রকাশ করেছেন। তিনি নিজেও কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছেন। তিনি বলেন, “বুম্বাদা যদি আমাকে তার সঙ্গে এই উদ্যোগে নেন, তবে খুব ভালো লাগবে। কারণ, কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহ তৈরির অভিজ্ঞতা থেকে কিছু জ্ঞান অর্জন করেছি, যা এখানে কাজে লাগাতে পারব।”
প্রযোজক-অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরাও এই উদ্যোগে ভীষণ খুশি। তিনি বলেন, “আমরা অনেক সময় পরিকল্পনা করি, কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারি না। বুম্বাদা কাজ করে দেখাচ্ছেন। বাংলা বিনোদন জগতে একের পর এক ছবি তৈরি হচ্ছে, কিন্তু সেগুলো প্রদর্শনের জন্য পর্যাপ্ত প্রেক্ষাগৃহ নেই। কেউ একজন দায়িত্ব নিয়ে এই অভাব পূরণ করতে এগিয়ে আসছেন, এটি খুবই ভালো লাগছে।”
নবীন, শতদীপ এবং অঙ্কুশ তিনজনই প্রসেনজিতকে এই উদ্যোগে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।