Friday, July 25, 2025

ভোটের ময়দানে ‘ডিসকো ড্যান্সার’-এর হুঙ্কার: তৃণমূলকে পালটা মারার ডাক মিঠুনের

 বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী ফের একবার সরব হয়েছেন বাংলার রাজনীতিতে। শুক্রবার হুগলির আরামবাগে এক রাজনৈতিক সভায় রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসেন এই ‘ডিসকো ড্যান্সার’। তার মন্তব্য, ‘মার খেয়ে বাড়ি ফিরবেন না, পালটা মার দিন। পারলে মারবেন।’ — এই উসকানিমূলক বক্তব্যে ফের উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিঠুন চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘এই সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। নারীদের কোনো সুরক্ষা নেই। তৃণমূল গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। ভোটার তালিকায় ভুয়া নাম ঢুকিয়ে ভোটে কারচুপি করছে।’

তিনি বিহারের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে নির্বাচন কমিশনের ততপরতায় ৫৬ লাখ ভুয়া ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাতেও এমন খতিয়ে দেখা দরকার বলেই মন্তব্য করেন মিঠুন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এনআরসি ও ভোটার যাচাইয়ের বার্তা ঘিরে রাজ্যে নতুন করে মেরুকরণে নামছে বিজেপি।

তৃণমূলও অবশ্য পালটা দিয়েছে। দলটির সংসদ সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মিঠুন চক্রবর্তীকে আমি অভিনেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু রাজনীতিতে তিনি একজন জোকার। বাংলার মাটির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের টিকিটে একবার রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন, পরে ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে পদ ছেড়ে পালিয়েছেন।’

ভোটের আগে নাগরিকত্ব, ভুয়া ভোটার, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক হিংসা ইস্যুকে সামনে এনে বিজেপি আবারও আগ্রাসী ছন্দে ফিরেছে। আর সেই সুরেই মিঠুন চক্রবর্তীর মুখে শোনা গেল সংঘর্ষমূলক ভাষা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারকা মুখ ব্যবহার করে জনসংযোগ জোরদার করতেই মাঠে নামানো হয়েছে মিঠুনকে। তবে তাঁর মন্তব্যে নির্বাচনী পরিবেশে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন অনেকে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.