ঘটনার পটভূমি
ভিডিওতে দেখা যায়, আমিরের বাসা থেকে একটি পাইলট গাড়ি ও একটি বিলাসবহুল বাস বের হচ্ছে, যাতে আইপিএস কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা ধরনের গুজব ছড়ায়। কেউ মনে করেন, আমিরের নতুন চলচ্চিত্র প্রকল্প, সম্ভবত মেঘালয়ের ইন্দোরে ঘটে যাওয়া রাজা ও সোনম রঘুবংশীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে থ্রিলার ছবির গবেষণার জন্য এই সাক্ষাত হতে পারে। আবার কেউ ধারণা করেন, আমির ও অমিতাভ বচ্চনের রোলস রয়েস গাড়ির রোড ট্যাক্স সংক্রান্ত তদন্তের জন্য পুলিশ এসেছিল।
আমিরের টিমের ব্যাখ্যা
অবশেষে, আমির খানের প্রযোজনা সংস্থা এক বিবৃতির মাধ্যমে এই জল্পনার অবসান ঘটায়। বিবৃতিতে বলা হয়, হায়দরাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল জাতীয় পুলিশ একাডেমির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একদল আইপিএস কর্মকর্তা মুম্বাই সফরে এসেছিলেন। তাদের সফরের অংশ হিসেবে তারা আমির খানের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চেয়েছিলেন। আমির তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে নিজের বাসায় আমন্ত্রণ জানান। এই সাক্ষাতের উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক পরিবর্তনে চলচ্চিত্রের ভূমিকা এবং এ বিষয়ে আমিরের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানা।
আমিরের সাম্প্রতিক কার্যক্রম
তিন বছর পর্দার বাইরে থাকার পর সম্প্রতি আমির খান ‘সিতারে জামিন পার’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে ফিরেছেন। এস প্রসন্ন পরিচালিত এই ছবিতে তিনি একজন বাস্কেটবল কোচের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। মুক্তির আগে নানা শঙ্কা থাকলেও, ছবিটি বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করেছে।
জনমনে প্রতিক্রিয়া
আমিরের বাসায় পুলিশ কর্মকর্তাদের আগমনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে আমিরের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন, জানিয়েছেন যে সামাজিক পরিবর্তনে চলচ্চিত্রের ভূমিকা নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, এত সংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতি কি আসলেই শুধুমাত্র আলোচনার জন্য ছিল?
এই ঘটনা আমির খানের জনপ্রিয়তা এবং তার কাজের প্রতি মানুষের কৌতূহলকে আরও একবার তুলে ধরেছে। তবে তার টিমের বিবৃতির পর বিতর্কের অবসান ঘটলেও, বলিপাড়ায় এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে।