দ্য নড ম্যাগাজিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাশমিকা জানিয়েছেন, তিনি প্রতিটি সিনেমাকে একটি আলাদা প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করেন। তিনি বলেন, “ভারতে বিভিন্ন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সিনেমা নির্মাণের দৃষ্টিভঙ্গি একেক রকম। আমি এটা বুঝতে পেরেছি এবং তাই প্রতিটি সিনেমার জন্য আলাদাভাবে পরিকল্পনা করি। আমি জানতে চাই, কোন ইন্ডাস্ট্রির দর্শক আমার কাছে কী আশা করেন। গল্প শোনার সময় আমি চরিত্রের গভীরতা এবং এর গ্রাফ বোঝার চেষ্টা করি। এটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
‘ছাভা’র মাধ্যমে ঐতিহাসিক সাফল্য
রাশমিকার অভিনয়ের দক্ষতা ও বৈচিত্র্যের প্রমাণ পাওয়া যায় তার সাম্প্রতিক সিনেমা ‘ছাভা’তে। ছত্রপতি সাম্বাজি মহারাজের জীবনীভিত্তিক এই ঐতিহাসিক ব্লকবাস্টার সিনেমায় তিনি যিশুবাই চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি বলেন, “এই সিনেমাটি সম্পূর্ণরূপে সাম্বাজি মহারাজকে কেন্দ্র করে হলেও, যিশুবাইয়ের চরিত্রটিও অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। এমন গল্পের অংশ হওয়া সত্যিই গর্বের।” ‘ছাভা’ ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, এবং রাশমিকার অভিনয় এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
‘টাইপকাস্টিং’ এড়িয়ে বৈচিত্র্যের পথে
রাশমিকা মান্দান্না একই ধরনের চরিত্রে বারবার অভিনয় করে ‘টাইপকাস্ট’ হতে চান না। তিনি বলেন, “আমি চাই না একই ধরনের চরিত্রে আটকে যেতে। আমি ভিন্ন ভিন্ন গল্প ও চরিত্রে কাজ করতে চাই।” তার এই দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ পাওয়া যায় তার আগামী প্রজেক্ট ‘দ্য গার্লফ্রেন্ড’-এ। ‘ছাভা’র মতো বিশাল গল্পের বিপরীতে এই সিনেমাটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের, যেখানে তিনি অভিনয়কেন্দ্রিক একটি চরিত্রে কাজ করছেন। তিনি বলেন, “এই সিনেমাটি মেয়েদের জন্য, এবং আমি এতে কাজ করে খুবই উতসাহী।”
নিজেকে নতুন করে গড়ার প্রতিজ্ঞা
রাশমিকা নিজেকে ক্রমাগত ভেঙে নতুন করে গড়তে চান। তিনি বলেন, “আমি দেখতে চাই আমার সীমা কোথায়। নিজেকে নিয়ে পরীক্ষা করতে আমার ভালো লাগে।” এই মানসিকতার কারণেই তিনি একজন বৈচিত্র্যময় অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গল্প ও চরিত্রের গভীরতার প্রতি তার নিষ্ঠা তাকে ভারতীয় সিনেমার ‘প্যান ইন্ডিয়া’ রানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
রাশমিকা মান্দান্নার এই অক্লান্ত পরিশ্রম, বৈচিত্র্যের প্রতি ভালোবাসা এবং নিজেকে নতুন করে আবিষ্কারের প্রচেষ্টাই তাকে আজ ভারতীয় সিনেমার এক উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিণত করেছে।