গানের প্রসঙ্গে মনির খান বলেন, “প্রতিনিয়ত গান করছি। আমার দুটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে, যেখানে প্রতি মাসে দুই-তিনটি গান প্রকাশ করতে হয়। গতকাল গান রেকর্ডিং করেছি, আগামীকালও রেকর্ডিং আছে। সবমিলিয়ে গানের মধ্যেই আছি।” নিয়মিত গান প্রকাশের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তিনি বলেন, “এটা অধ্যবসায়ের বিষয়। নিয়মিত না লিখলে লেখার মান কমে যায়। শরীর ঠিক রাখতে যেমন নিয়মিত চর্চা দরকার, তেমনি কণ্ঠ ঠিক রাখতেও নিয়মিত চর্চা জরুরি। সংগীত গুরুমুখী বিদ্যা, আমরা গুরুর কাছ থেকে যা শিখেছি, তাই করে যাচ্ছি। এখনো প্রতিদিন নিয়ম করে গানের চর্চা করি।”
গানের মান নিয়ে তিনি বলেন, “অনেকে বর্তমান সময়ের কথা মাথায় রেখে গান করেন। কিন্তু আমি সময়ের চেয়ে সৃষ্টিকে প্রাধান্য দিই। গানের কথা ও সুর যেন মানসম্পন্ন হয়, যেন মানুষ দীর্ঘদিন ধরে গানটি শোনে, এসব বিষয় খেয়াল রেখেই গান করি।”
রাজনীতি প্রসঙ্গে মনির খানের বিরুদ্ধে বিএনপি থেকে সরে যাওয়ার গুজব উঠেছিল। এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “এটা সত্য নয়। ২০১৮ সালের একটি তথ্যকে বিকৃত করে সামনে আনা হচ্ছে। আমি দলের পদ ছেড়েছিলাম, কিন্তু দল কখনো ছাড়িনি। আমি বিএনপিতে ছিলাম এবং এখনো আছি। এই গুজব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গত ১০ বছর ধরে আমি আমার এলাকায় সবকিছু গুছিয়ে এনেছি। এলাকার মানুষ আমাকে পছন্দ করে। কিন্তু একটি শ্রেণি এটা পছন্দ করতে পারছে না, তাই গুজব ছড়াচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যদি দল চায়, জনগণ যদি চায় এবং আমাকে যোগ্য মনে করে, তাহলে আমি নির্বাচনে অংশ নেব।”
মনির খানের এই বক্তব্য গান ও রাজনীতি—দুই ক্ষেত্রেই তাঁর প্রতিশ্রুতি ও নিষ্ঠার প্রতিফলন ঘটায়।