কাজল বলেন, “আমার মনে হয় এটি পুরোপুরি ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। যে যেভাবে নিজেকে দেখতে ভালোবাসেন এবং এই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী, তিনি নিজের চেহারায় পরিবর্তন আনতেই পারেন। ছুরি-কাঁচি চালিয়ে নিজেকে বদলানো কোনো বড় বিষয় নয়। আমি এটাকে খুব সাধারণভাবেই দেখি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, শুধু নারীরাই নয়, অনেক পুরুষও চেহারার পরিবর্তনে অস্ত্রোপচার বা প্রসাধন প্রক্রিয়ার আশ্রয় নেন। তবে সমাজে নারীদের নিয়েই বেশি সমালোচনা ও কটাক্ষ করা হয়। কাজল এই দ্বৈত মানদণ্ড নিয়ে আক্ষেপ করে বলেন, “পুরুষরাও চেহারা বদলাতে সার্জারির আশ্রয় নেন, কিন্তু তা নিয়ে আলোচনা বা কটাক্ষ হয় না। অথচ নারীরা এমন কিছু করলেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। এটা একেবারেই তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত।”
চেহারার সৌন্দর্য ধরে রাখার চেষ্টাকে স্বাভাবিক বলে মনে করলেও, বয়স নিয়ে কাজলের দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত বাস্তববাদী ও ইতিবাচক। তিনি বলেন, “বয়স হওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বরং জীবনের প্রতিটি ধাপকে উপভোগ করতে জানা উচিত। অনেকে কম বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান, তারা বয়স বাড়ার আনন্দ পান না—এটাই কষ্টের। তাই আমি মনে করি, বয়স বাড়াটাই সৌভাগ্য।”
কাজলের এই অকপট মন্তব্য এবং ‘সারজামিন’ ছবির প্রচারণা তাকে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। দর্শকরা এখন অপেক্ষায় রয়েছেন, এই ছবিতে কাজল ও ইব্রাহিমের অভিনয় কীভাবে দর্শকদের মন জয় করে।